আমরা আজ জানবো তারাবির রাকাত সংখ্যা কত। তাই আপনারা যারা এ বিষয় নিয়ে কম জানেন বা কিছু জানেন না আজকের পোষ্টটা আপনার জন্য। অনেকে অনেক মতো বাদ দিয়ে থাকে তাই বন্দুরা যারা এ বিষয় টি জানতে ইচ্ছুক তারা শেষ পযন্ত পড়ে কিছু ধারণা নিতে পারবেন।
পেজ সূচিপত্রঃ তারাবির নামাজ ৮ রাকাতের দলিল
- ৮ রাকাতের পক্ষে সহীহ হাদীস
- তারাবীর স্বলাত ৮+৩=১১ না ২০+৩=২৩ রাকাত
- ৮ রাকাতের পক্ষে ১০০টি সহীহ হাদীস এক নজরে
- বন্ধ হওয়ার পরে পুনরায় তারাবির নামাজ ৮ রাকাত চালু হয়
- তারাবির নামাজ ২০ রাকাত
৮ রাকাতের পক্ষে সহীহ হাদীস | তারাবির নামাজ ৮ রাকাতের দলিল
রাসূল ﷺ এর ক্বিয়ামূল লায়েল, তাহাজ্জুদ (রমজানে তারাবীহ) নিয়মিত সালাত বিতর সহ ১১ রাকআত এবং ফজরের দুই রাকআত সুন্নাত সহ ১৩ রাকআতের বেশি ছিলনা। এ বিষয়ে অনেক সহীহ হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
রাক‘আট সংখ্যাঃ রামাযান বা রামাযানের বাইরে রাসূলুল্লাহ ﷺ হ’তে রাত্রির এই বিশেষ নফল ছালাত তিন রাক‘আত বিতরসহ ১১ রাক‘আত ছহীহ সূত্র সমূহ দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে। যেমন আয়েশা (রাঃ) বলেন,
مَا كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَزِيْدُ فِيْ رَمَضَانَ وَلاَ فِيْ غَيْرِهِ عَلَى إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً، يُصَلِّيْ أَرْبَعًا فَلاَ تَسْأَلْْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُوْلِهِنَّ ثُمَّ يُصَلِّيْ أَرْبَعًا فَلاَ تَسْأَلْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُوْلِهِنَّ ثُمَّ يُصَلِّيْ ثَلاَثًا، متفق عليه-
রামাযান বা রামাযানের বাইরে রাসূলুল্লাহ ﷺ রাত্রির ছালাত এগার রাক‘আতের বেশী আদায় করেননি। তিনি প্রথমে (২+২) [1] চার রাক‘আত পড়েন। তুমি তার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করো না। অতঃপর তিনি (২+২) চার রাক‘আত পড়েন। তুমি তার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করো না। অতঃপর তিন রাক‘আত পড়েন।[2]
আমি লক্ষ করে দেখলাম عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ أَنَّهُ سَأَلَ عَائِشَةَ كَيْفَ كَانَتْ صَلاَةُ رَسُولِ اللهِ فِي رَمَضَانَ আবি সালামাহ ইবনে আব্দুর রহমান নামে একজন তাবিঈ (আল্লাহ তার উপরে রহম করুন) আয়িশা (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করছেন যে, রমায্বনে রাসূল ﷺ এর স্বলাত কেমন ছিল?[বুখারী হা/২০১৩]
তারাবীর স্বলাত ৮+৩=১১ না ২০+৩=২৩ রাকাত | তারাবির নামাজ ৮ রাকাতের দলিল
রমাদ্বানে? হ্যাঁ হ্যাঁ রমায্বনেই। চিন্তা করেন। প্রশ্ন কারী প্রশ্ন করেছেন খাসভাবে রমাদ্বানকে উল্লেখ করে। আর আমাদের মা আয়িশা রাঃ উত্তরে কী বললেন? مَا كَانَ يَزِيدُ فِي رَمَضَانَ وَلاَ فِي غَيْرِهِ عَلَى إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً (রাসুল ﷺ) রমায্বনে অথবা রমায্বনের বাইরে ১১ রাকাতের বেশি স্বলাত আদায় করতেন না। [বুখারী হা/২০১৩]
ভাই যদি এটা তারাবী না হয়ে তাহাজ্জুদ হয় তো খাস করে রমায্বনে কত রাকাত তা জিজ্ঞাসা করা হল কেন?
আর আয়িশা (র)_ই বা কেন বললেন, রমায্বনেই হোক আর অন্য মাসেই হোক তিনি ১১ রাকাতের বেশি স্বলাত আদায় করতেন না?
মানে বিষয়টি একেবারেই সুস্পষ্ট যে যেটাই তারাবীহ সেটাই তাহাজ্জুদ। আলাদা কিছু নয়। আর তা হল ৮ রাকাত আর বিতর ৩ রাকাত দিয়ে মোট ১১ রাকাত। আয়িশা (রা) এটাই পরিস্কার করে দিয়ে গেছেন। আর এই ১১ রাকাত স্বলাত সুন্দর করে আদায় করলেই রমায্বনের ক্বিয়াম আদায় হয়ে যাবে আর তার ফজিলত হাসিল হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ বলেন,
قُلۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ تُحِبُّوۡنَ اللّٰہَ فَاتَّبِعُوۡنِیۡ یُحۡبِبۡکُمُ اللّٰہُ وَ یَغۡفِرۡ لَکُمۡ ذُنُوۡبَکُمۡ ؕ وَ اللّٰہُ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۳۱﴾ বল, ‘যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তবে আমার অনুসরণ কর, আল্লাহ তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’। (আল-ইমরান: ৩১)। অর্থাৎ আল্লাহর ভালবাসা ও নাজাত পেতে মুহাম্মাদ ﷺ এর তরীকায় চলতে হবে। তাঁর তরীকার বাইরে অন্য কোনো নবীর তরীকায় নাজাত থাকতে পারে বলে মনে করাও কুফরী।
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱسۡتَجِيبُواْ لِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ إِذَا دَعَاكُمۡ لِمَا يُحۡيِيكُمۡۖ وَٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّ ٱللَّهَ يَحُولُ بَيۡنَ ٱلۡمَرۡءِ وَقَلۡبِهِۦ وَأَنَّهُۥٓ إِلَيۡهِ تُحۡشَرُونَ٢٤﴾ [الانفال: ٢٤] “হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহ ও রাসূলের ডাকে সাড়া দাও; যখন সে তোমাদেরকে আহ্বান করে তার প্রতি, যা তোমাদেরকে জীবন (মৃত্য হৃদয় জীবন করে) দান করে। জেনে রেখো, নিশ্চয় আল্লাহ মানুষ ও তার হৃদয়ের মাঝে অন্তরায় (আল্লাহর অনুমতিতে মানুষ মুমিন ও কাফের) হন। আর নিশ্চয়ই তাঁর নিকট তোমাদেরকে সমবেত করা হবে।” [সূরা আল- আনফাল, আয়াত: ২৪]
আশ্চর্যজনক বিষয় হলো, এক ধরনের লোকেরা বলে, আমরাই আল্লাহ ও তার রাসূলের যথাযথ সম্মান প্রদর্শনকারী। অথচ তারা যখন আল্লাহর দীন বা তার দেওয়া শরী‘আত -যা নিয়ে দুনিয়াতে আল্লাহর রাসূল আগমন করেছেন, তাতে এমন কিছু আবিষ্কার করে, যা তার দীনের অংশ নয়, তখন তারা অবশ্যই আল্লাহ ও তার রাসূলের সামনে অগ্রগামী হলো। অথচ আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সামনে অগ্রবর্তী হয়ো না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تُقَدِّمُواْ بَيۡنَ يَدَيِ ٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦۖ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَۚ إِنَّ ٱللَّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٞ ١﴾ [الحجرات: ١]
“হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সামনে অগ্রবর্তী হয়ো না এবং তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর, নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ”। [সূরা আল-হুজরাত, আয়াত: ১]
ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, 'আমার মনে হয় ওরা ধ্বংস হয়ে যাবে। আমি বলছি, নবী ﷺ বলেছেন’ আর ওরা বলছে, আবু বকর ও উমর বলেছেন।[এটিকে আহমদ প্রভৃতিগণ বর্ণনা করেছেন ও আহমাদ শাকের এটিকে সহীহ বলেছেন]
আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:
(يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَلَا تَوَلَّوْا عَنْهُ وَأَنْتُمْ تَسْمَعُونَ (20)) ... [الأنفال: 20]. ‘হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর এবং তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিও না, অথচ তোমরা শুনছ’(সূরা আল-আনফাল:২০)।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَطِیۡعُوا اللّٰہَ وَ اَطِیۡعُوا الرَّسُوۡلَ وَ لَا تُبۡطِلُوۡۤا اَعۡمَالَکُمۡ ﴿۳۳﴾ হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রাসূলের আনুগত্য কর। আর তোমরা তোমাদের আমলসমূহ বিনষ্ট করো না।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿مَّن يُطِعِ ٱلرَّسُولَ فَقَدۡ أَطَاعَ ٱللَّهَۖ وَمَن تَوَلَّىٰ فَمَآ أَرۡسَلۡنَٰكَ عَلَيۡهِمۡ حَفِيظٗا ٨٠﴾ [النساء : ٨٠] “যে রাসূলের আনুগত্য করল, সে আল্লাহরই আনুগত্য করল। আর যে বিমুখ হল, তবে আমি তোমাকে তাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক (দারোগা) করে প্রেরণ করি নি”। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৮০]
বন্ধ হওয়ার পরে পুনরায় তারাবির নামাজ ৮ রাকাত চালু হয় তারাবির নামাজ ৮ রাকাতের দলিল
সম্ভবত: নব প্রতিষ্ঠিত ইসলামী খেলাফতের উপরে আপতিত যুদ্ধ-বিগ্রহ ও অন্যান্য ব্যস্ততার কারণে ১ম খলীফা হযরত আবুবকর ছিদ্দীক্ব (রাঃ)-এর সংক্ষিপ্ত খেলাফতকালে (১১-১৩ হিঃ) তারাবীহর জামা‘আত পুনরায় চালু করা সম্ভবপর হয়নি। ২য় খলীফা হযরত ওমর ফারূক (রাঃ) স্বীয় যুগে (১৩-২৩ হিঃ) রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে এবং বহু সংখ্যক মুছল্লীকে মসজিদে বিক্ষিপ্তভাবে উক্ত ছালাত আদায় করতে দেখে রাসূল ﷺ এর রেখে যাওয়া সুন্নাত অনুসরণ করে তাঁর খেলাফতের ২য় বর্ষে ১৪ হিজরী সনে মসজিদে নববীতে ১১ রাক‘আতে তারাবীহর জামা‘আত পুনরায় চালু করেন।[3] যেমন সায়েব বিন ইয়াযীদ (রাঃ) বলেন,
أَمَرَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أُبَيَّ بْنَ كَعْبٍ وَتَمِيْمًا الدَّارِيَّ أَنْ يَّقُوْمَا لِلنَّاسِ فِىْ رَمَضَانَ بِإِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً.... رواه في المؤطأ بإسناد صحيح- ‘খলীফা ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হযরত উবাই ইবনু কা‘ব ও তামীম দারী (রাঃ)-কে রামাযানের রাত্রিতে ১১ রাক‘আত ছালাত জামা‘আত সহকারে আদায়ের নির্দেশ প্রদান করেন। এই ছালাত(إلي فُرُوْعِ الْفَجْرِ) ফজরের প্রাক্কাল (সাহারীর পূর্ব) পর্যন্ত দীর্ঘ হ’ত’।[4]
তারাবির নামাজ ২০ রাকাত | তারাবির নামাজ ৮ রাকাতের দলিল
প্রকাশ থাকে যে, উক্ত রেওয়ায়াতের পরে ইয়াযীদ বিন রূমান থেকে ‘ওমরের যামানায় ২০ রাক‘আত তারাবীহ পড়া হ’ত’ বলে যে বর্ণনা এসেছে, তা ‘যঈফ’ এবং ২০ রাক‘আত সম্পর্কে ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে ‘মরফূ’ সূত্রে যে বর্ণনা এসেছে, তা ‘মওযূ’ বা জাল।[5] এতদ্ব্যতীত ২০ রাক‘আত তারাবীহ সম্পর্কে কয়েকটি ‘আছার’ এসেছে, যার সবগুলিই ‘যঈফ’।[6] ২০ রাক‘আত তারাবীহর উপরে ওমরের যামানায়
ছাহাবীগণের মধ্যে ‘ইজমা’ বা ঐক্যমত হয়েছে বলে যে দাবী করা হয়, তা একেবারেই ভিত্তিহীন ও বাতিল কথা (بَاطِلَةٌ جِدًّا) মাত্র। [7] তিরমিযীর ভাষ্যকার খ্যাতনামা ভারতীয় হানাফী মনীষী দারুল উলূম দেউবন্দ-এর তৎকালীন সময়ের মুহতামিম (অধ্যক্ষ) আনোয়ার শাহ কাষ্মীরী (১২৯২-১৩৫২/১৮৭৫-১৯৩৩ খৃঃ) বলেন, একথা না মেনে উপায় নেই যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর তারাবীহ ৮ রাক‘আত ছিল। [8]
এটা স্পষ্ট যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ ও খুলাফায়ে রাশেদ্বীন থেকে এবং রাসূল (ছাঃ)-এর অন্য কোন স্ত্রী ও ছাহাবী থেকে ১১ বা ১৩ রাক‘আতের ঊর্ধ্বে তারাবীহ বা তাহাজ্জুদের কোন বিশুদ্ধ প্রমাণ নেই।[9] বর্ধিত রাক‘আত সমূহ পরবর্তীকালে সৃষ্ট।
ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ রাত্রির ছালাত ১১ বা ১৩ রাক‘আত আদায় করতেন। পরবর্তীকালে মদ্বীনার লোকেরা দীর্ঘ ক্বিয়ামে দুর্বলতা বোধ করে। ফলে তারা রাক‘আত সংখ্যা বৃদ্ধি করতে থাকে, যা ৩৯ রাক‘আত পর্যন্ত পৌঁছে যায়’।[10] অথচ বাস্তব কথা এই যে,
আল্লাহর রাসূল ﷺ যেমন দীর্ঘ ক্বিয়াম ও ক্বিরাআতের মাধ্যমে তিন রাত জামা‘আতের সাথে তারাবীহর ছালাত আদায় করেছেন, তেমনি সংক্ষিপ্ত ক্বিয়ামেও তাহাজ্জুদের ছালাত আদায় করেছেন। যা সময় বিশেষে ৯, ৭ ও ৫ রাক‘আত হ’ত। কিন্তু তা কখনো ১১ বা ১৩ -এর ঊর্ধ্বে প্রমাণিত হয়নি।[11] তিনি ছিলেন ‘সৃষ্টিজগতের প্রতি রহমত স্বরূপ’ (আম্বিয়া ২১/১০৭) এবং বেশী না পড়াটা ছিল উম্মতের প্রতি তাঁর অন্যতম রহমত।
এক্ষণে ২৩, ২৫ ও ২৭শে রামাযানের যে বেজোড় তিন রাত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) জামা‘আত সহ তারাবীহ পড়েছিলেন, সে তিন রাত কত রাক‘আত পড়েছিলেন? জবাব এই যে, সেটা ছিল আট রাক‘আত তারাবীহ ও বাকীটা বিতর। যেমন হযরত জাবির (রাঃ) বর্ণিত হাদীছে এসেছে-
صَلَّى بِنَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيْ شَهْرِ رَمَضَانَ ثَمَانَ رَكْعَاتٍ وَالْوِتْرَ- ‘রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদের নিয়ে রামাযানে সালাত আদায় করলেন আট রাক‘আত এবং বিতর পড়লেন।[12]
জাবের (রাঃ) বর্ণিত উক্ত হাদীছে বিতরের রাক‘আত সংখ্যা বলা হয়নি। কিন্তু আয়েশা (রাঃ) বর্ণিত হাদীছের শেষে স্পষ্টভাবে তিন রাক‘আত বিতরের কথা এসেছে, যা ইতিপূর্বে বর্ণিত হয়েছে।[13] অতএব ৮+৩=১১ রাক‘আত তারাবীহ জামা‘আত সহকারে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সুন্নাত হিসাবে সাব্যস্ত হয়।
৮ রাকাতের পক্ষে ১০০টি সহীহ হাদীস এক নজরে | তারাবির নামাজ ৮ রাকাতের দলিল
ক্বিয়ামূল লায়েল, তাহাজ্জুদ (রমজানে তারাবীহ) বিতর সহ ১১ রাকআত এবং ফজরের দুই রাকআত সুন্নাত সহ ১৩ রাকআত এসম্পর্কে ১০০ টি হাদিসের রেফারেন্স উল্লেখ করা হলো :-
➤➤ সহীহ বুখারী (শামেলা+তাওহীদ পাবলিকেশন্স) ১০ টি হাদিস ৯৯৪, ১১২৩, ১১৪০, ১১৪৭, ২০১৩, ৩৫৬৯, ৪৫৬৯, ৬৩১০, ৬৩১৬, ৭৪৫২,
➤➤ সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) ১৪ টি হাদিস ১৫৯০, ১৫৯১, ১৫৯৩, ১৫৯৫, ১৫৯৬, ১৫৯৭, ১৫৯৯, ১৬০০, ১৬৬১, ১৬৬৪, ১৬৬৫, ১৬৬৭, ১৬৭৬, ১৬৭৭,
➤➤ সুনানে আবু দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) ১০ টি হাদিস ১৩৩৪, ১৩৩৮, ১৩৪১, ১৩৪২, ১৩৪৩, ১৩৫৯, ১৩৬০, ১৩৬৪, ১৩৬৫, ১৩৬৬,
➤➤ সুনান আত তিরমিযী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) ৪ টি হাদিস ৪৩৯, ৪৪২, ৪৫৮, ৪৫৯,
➤➤ সুনান আন নাসাঈ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) ১০ টি হাদিস ৬৮৬, ৬৮৭, ১৩৩১, ১৬৯৯, ১৭০০, ১৭১১, ১৭২৯, ১৭৩০, ১৭৫২, ১৭৮৪,
➤➤সুনানে ইবনে মাজাহ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) ৫ টি হাদিস ১১৯১, ১৩৫৮, ১৩৫৯, ১৩৬১, ১৩৬২,
➤➤ সুনান আদ দারেমী (৬টি হাদিস) ১৪৮৪, ১৫১১, ১৫১২, ১৫১৩, ১৬১৯, ১৬২৩,
➤➤ সুনানে দারু কুতনী ১৫১৫,
➤➤ মুসনাদে আহমাদঃ- (মাকতাবায়ে শামেলা) ২২ টি হাদিস ২৪০৫৭, ২৪০৭০, ২৪০৭৩, ২৪১১৬, ২৪২৩৯, ২৪৪৪৬, ২৪৪৬১, ২৪৫৭৭, ২৪৭৩২, ২৫১০৫, ২৫২৮৬, ২৫৩৪৫, ২৫৪৪৭, ২৫৪৮৬, ২৫৪৯০, ২৫৫৫৯, ২৫৭৮১, ২৫৮৫৭, ২৫৮৫৮, ২৬১০৬, ২৬১২২, ২৬৩৫৮,
➤➤ সহীহ ইবনু হাব্বান (৫টি হাদিস) ২৪৩০, ২৪৩৭, ২৬১২, ২৬১৩, ২৬১৯,
➤➤ মুয়াত্তা মালিক (৬টি হাদিস) ২৪৪, ২৫৫, ২৫৬, ২৫৭, ২৫৮, ২৫৯,
➤➤ মুসান্নাফ আব্দুর রাযযাক (৭ টি হাদিস) ৩৮৬২, ৩৮৬৮, ৪৭০৫, ৪৭০৭, ৪৭১২, ৪৮০৩, ৭৮৫৯, এখানে মোট ১০০ টি হাদিস উল্লেখ করেছি। ১১ রাকআত এবং ফজরের দুই রাকআত সুন্নাতসহ ১৩ রাকআত
➤➤ সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন্স) ১০ টি হাদিস ৯৯৪, ১১২৩, ১১৪০, ১১৪৭, ২০১৩, ৩৫৬৯, ৪৫৬৯, ৬৩১০, ৬৩১৬, ৭৪৫২,
➤➤ সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) ১৪ টি হাদিস ১৫৯০, ১৫৯১, ১৫৯৩, ১৫৯৫, ১৫৯৬, ১৫৯৭, ১৫৯৯, ১৬০০, ১৬৬১, ১৬৬৪, ১৬৬৫, ১৬৬৭, ১৬৭৬, ১৬৭৭,
➤➤ সুনানে আবু দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) ১০ টি হাদিস ১৩৩৪, ১৩৩৮, ১৩৪১, ১৩৪২, ১৩৪৩, ১৩৫৯, ১৩৬০, ১৩৬৪, ১৩৬৫, ১৩৬৬,
➤➤ সুনান আত তিরমিযী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) ৪ টি হাদিস ৪৩৯, ৪৪২, ৪৫৮, ৪৫৯,
➤➤ সুনান আন নাসাঈ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) ১০ টি হাদিস ৬৮৬, ৬৮৭, ১৩৩১, ১৬৯৯, ১৭০০, ১৭১১, ১৭২৯, ১৭৩০, ১৭৫২, ১৭৮৪,
➤➤সুনানে ইবনে মাজাহ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) ৫ টি হাদিস ১১৯১, ১৩৫৮, ১৩৫৯, ১৩৬১, ১৩৬২,
➤➤ সুনান আদ দারেমী (৬টি হাদিস) ১৪৮৪, ১৫১১, ১৫১২, ১৫১৩, ১৬১৯, ১৬২৩,
➤➤ সুনানে দারু কুতনী ১৫১৫,
➤➤ মুসনাদে আহমাদঃ- (মাকতাবায়ে শামেলা) ২২ টি হাদিস ২৪০৫৭, ২৪০৭০, ২৪০৭৩, ২৪১১৬, ২৪২৩৯, ২৪৪৪৬, ২৪৪৬১, ২৪৫৭৭, ২৪৭৩২, ২৫১০৫, ২৫২৮৬, ২৫৩৪৫, ২৫৪৪৭, ২৫৪৮৬, ২৫৪৯০, ২৫৫৫৯, ২৫৭৮১, ২৫৮৫৭, ২৫৮৫৮, ২৬১০৬, ২৬১২২, ২৬৩৫৮,
➤➤ সহীহ ইবনু হাব্বান (৫টি হাদিস) ২৪৩০, ২৪৩৭, ২৬১২, ২৬১৩, ২৬১৯,
➤➤ মুয়াত্তা মালিক (৬টি হাদিস) ২৪৪, ২৫৫, ২৫৬, ২৫৭, ২৫৮, ২৫৯,
➤➤ মুসান্নাফ আব্দুর রাযযাক (৭ টি হাদিস) ৩৮৬২, ৩৮৬৮, ৪৭০৫, ৪৭০৭, ৪৭১২, ৪৮০৩, ৭৮৫৯, এখানে মোট ১০০ টি হাদিস উল্লেখ করেছি।
[1] . মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১১৮৮ ‘রাত্রির ছালাত’ অনুচ্ছেদ-৩১। [2] . (১) বুখারী ১/১৫৪ পৃঃ, হা/১১৪৭; (২) মুসলিম ১/২৫৪ পৃঃ, হা/১৭২৩; (৩) তিরমিযী হা/৪৩৯; (৪) আবুদাঊদ হা/১৩৪১; (৫) নাসাঈ হা/১৬৯৭; (৬) মুওয়াত্ত্বা, পৃঃ ৭৪, হা/২৬৩; (৭) আহমাদ হা/২৪৮০১; (৮) ছহীহ ইবনু খুযায়মা হা/১১৬৬; (৯) বুলূগুল মারাম হা/৩৬৭; (১০) তুহফাতুল আহওয়াযী হা/৪৩৭; (১১) বায়হাক্বী ২/৪৯৬ পৃঃ, হা/৪৩৯০; (১২) ইরওয়াউল গালীল হা/৪৪৫-এর ভাষ্য, ২/১৯১-১৯২; (১৩) মির‘আতুল মাফাতীহ হা/১৩০৬-এর ভাষ্য, ৪/৩২০-২১।
[3] . মির‘আত ২/২৩২ পৃঃ; ঐ, ৪/৩১৫-১৬ ও ৩২৬ পৃঃ। [4] . (১) মুওয়াত্ত্বা (মুলতান, পাকিস্তান: ১৪০৭/১৯৮৬) ৭১ পৃঃ, ‘রামাযানে রাত্রি জাগরণ’ অনুচ্ছেদ; মুওয়াত্ত্বা, মিশকাত হা/১৩০২ ‘রামাযান মাসে রাত্রি জাগরণ’ অনুচ্ছেদ-৩৭; মির‘আত হা/১৩১০, ৪/৩২৯-৩০, ৩১৫ পৃঃ; (২) বায়হাক্বী ২/৪৯৬, হা/৪৩৯২; (৩) মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ (বোম্বাই, ১৩৯৯/১৯৭৯) ২/৩৯১ পৃঃ, হা/৭৭৫৩; (৪) ত্বাহাভী শরহ মা‘আনিল আছার হা/১৬১০। [5] . আলবানী, হাশিয়া মিশকাত হা/১৩০২, ১/৪০৮ পৃঃ; ইরওয়া হা/৪৪৬, ৪৪৫, ২/১৯৩, ১৯১ পৃ:। [6] . তারাবীহর রাক‘আত বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য মির‘আত হা/
১৩১০ -এর আলোচনা দ্রষ্টব্য, ৪/৩২৯-৩৫ পৃঃ; ইরওয়া হা/৪৪৬-এর আলোচনা দ্রঃ ২/১৯৩ পৃঃ। [7] . তুহফাতুল আহওয়াযী হা/৮০৩-এর আলোচনা দ্রঃ ৩/৫৩১ পৃঃ; মির‘আত ৪/৩৩৫। [8] . كَانَتْ ثَمَانِيَةَ رَكْعَاتٍ) r (وَلاَ مَنَاصَ مِنْ تَسْلِيْمٍ أَنَّ تَرَاوِيْحَهُ আল-‘আরফুশ শাযী শরহ তিরমিযী হা/৮০৬-এর আলোচনা, দ্রঃ ২/২০৮ পৃঃ; মির‘আত ৪/৩২১। [9] . মুওয়াত্ত্বা, ৭১ পৃঃ, টীকা-৮ দ্রষ্টব্য। [10] . ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া (মক্কা: আননাহযাতুল হাদীছাহ ১৪০৪/১৯৮৪), ২৩/১১৩। [11] . মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১১৮৮ ‘রাত্রির ছালাত’ অনুচ্ছেদ-৩১; আবুদাঊদ, মিশকাত হা/১২৬৪ ‘বিতর’ অনুচ্ছেদ-৩৫, আয়েশা (রাঃ) হ’তে; মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১১৯৫, ‘রাত্রির ছালাত’ অনুচ্ছেদ-৩১, ইবনু আববাস (রাঃ) হ’তে। [12] . ছহীহ ইবনু খুযায়মা হা/১০৭০ ‘সনদ হাসান’ ২/১৩৮ পৃঃ; আলবানী,
হয়নি। কিন্তু আয়েশা (রাঃ) বর্ণিত হাদীছের শেষে স্পষ্টভাবে তিন রাক‘আত বিতরের কথা এসেছে, যা ইতিপূর্বে বর্ণিত হয়েছে।[13] অতএব ৮+৩=১১ রাক‘আত তারাবীহ জামা‘আত সহকারে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সুন্নাত হিসাবে সাব্যস্ত হয়।
উপরে সকল বিষয় আপনাদের উপকার কারার জন্য দেওয়া আছে যদি কিছু ভুল হয় তাহলে আমাকে কমেন্ট করে যানাতে পারেন কারণ মানুষ মাত্র ভুল হয়। আর যদি আমর ওয়েব সাইট টি ভালো লেগে থাকে তবে চাইলে পাশে থাকতে পারেন।
Very well post
উত্তরমুছুনThank you brother. And Hope to read more other posts later and stay tuned
উত্তরমুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন