শবে কদরের নামাজ কত রাকাত এবং শবে কদরের নামাজ নামাজ নফল না সুন্নত জেনে নিন। শবে কদরের নামাজ আমাদের জন্য নফল ইবাদাত। শবে কদরের নামাজ নফল ইবাদাত হলেও নবী কারীম (সাঃ) অত্যন্ত পছন্দ করতেন। এবং তিনি শবে কদরের নামাজের কত রাকাত এ নিয়ে তিনি কোন কথা বলে নি। শবে কদর নামাজের কোন নির্দিষ্ট রাকাত নেই। তবে নামাজ পড়ার সময় দুই রাকাত নফল নামাজ নিয়তকরতে হবে।
আপনাদের মনে এখন প্রশ্ন আসতে পারে শবে কদরের জন্য কত রাকাত নামাজ আদায় করতে
হয়? কিন্তু শবে কদরের নামাজের কোন
বিশেষ উঠানে দৃষ্ট রাকাত নেই। আপনার সামর্থ্য অনুসারে আপনি যত খুশি তত নফল নামাজ
আদায় করতে পারবেন। তবে একটি শর্ত হচ্ছে লাইলাতুল কদর বা শবে কদরের রাতে নফল নামাজ
পড়ার সময় অবশ্যই সে নামাজ যত সুন্দর করে পড়া এবং মনোযোগ সহকারে পড়া উত্তম।
কদর শব্দের অর্থ সম্মান, মর্যাদা বা মহাসম্মান। সূরা আল কদর পবিত্র কুরআন মাজীদের ৯৭ তম সূরা, এতে রয়েছে মহিমান্বিত ৫ টি আয়াত এবং এর রূকুর সংখ্যা ১। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছিল। একদা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বনী ইসরাইলের জনৈক লোকেদের সম্পর্কে আলোচনায় উল্লেখ করেন তারা দীর্ঘ হায়াত লাভ করে অধিককাল যাবত ইবাদত করেছেন। এ কথা শুনে সাহাবারা খুব নিরাশ হয়ে পড়লেন। তারা বললেন, আমাদের বয়স পূর্বের উম্মতদেরর তুলনায় খুবই কম। আমরা কীভাবে তাদের মতো নেকআমল করে সওয়াব অর্জন করব। এ পরিপ্রেক্ষিতে মহান রাব্বল আলামিন 'সূরা আল কদর' অবতীর্ণ করেন। এখানে ক্লিক করুন
শবে কদরের নামাজ কত রাকাত
ন্যূনতম ১২ রাকাত থেকে যত সম্ভব পড়া যেতে পারে। এ জন্য সাধারণ সুন্নতের নিয়মে
দুই রাকাত নফল পড়ছি। এ নিয়তে নামাজ শুরু করে শেষ করতে হবে। এ জন্য সূরা ফাতেহার
সাথে আপনার জানা যেকোনো সূরা মিলাইলেই চলবে। এ ছাড়া সালাতুল তওবা, সালাতুল হাজত, সালাতুল তাসবিহ
নামাজও আপনি পড়তে পারেন। রাতের শেষভাগে কমপে আট রাকাত তাহাজ্জুদ পড়ার চেষ্টা আমরা
অবশ্যই করব। কারণ এ নামাজ সর্বশ্রেষ্ঠ নফল নামাজ। আর রাতের এ অংশে দোয়া কবুল হয়।
শবে কদরের নামাজ পড়ার সময় অবশ্যই দুই রাকাত করে নফল নামাজ নিয়ত করতে হবে।
কিন্তু এই দুই রাকাত নামাজ পর্যন্ত সমাপ্তি নয়। আপনার যতো খুশি ততো নামাজ পড়তে
পারেন এবং যেকোন সূরা ব্যবহার করে এই নামাজ পড়তে পারবেন। নামাজের পাশাপাশি এড়াতে
কোরআন তেলাওয়াত করা উত্তম।
শবে কদরের নামাজ নফল না সুন্নত
অনেক মুসলমান ভাই ও বোনদের মধ্যে প্রশ্ন থাকে শবে কদরের নামাজ নফল হিসেবে ধরা
হয় নাকি সুন্নাত হিসেবে ধরা হয়। যেহেতু শবে কদরের নামাজ পড়া বাধ্যতামূলক নয়
এবং শবে কদরের নামাজের কোন নির্দিষ্ট রাকাত নেই সেহেতু আপনারা যদি এই শবে কদরের
রাত কে উদ্দেশ্য করে নামাজ পড়তে চান তাহলে অবশ্যই সেই নামাজ নফল হিসেবে নিয়োগ
করতে হবে এবং মহান আল্লাহতালার কাছে এই নামাজের সওয়াব নফল হিসেবে ধরা হবে।
লাইলাতুল কদরের নামাজ নিয়ে কিছু প্রশ্ন
১। শবে কদরে নামাজ কত রাকাত?
উত্তরঃ শবে কদরের নামাজের কোন নির্দিষ্ট রাকাত নেই।
২। শবে কদরের নামাজ নফল নাকি সুন্নত?
উত্তরঃ শবে কদরের নামাজ হচ্ছে নফল
নামাজ।
৩। শবে কদরের নামাজ কত রাকাত করে নিয়ত করতে হয়?
উত্তরঃ শবে কদরের নফল নামাজ আদায়
করার জন্য দুই রাকাত করে না কোন নামাজের নিয়ত করতে হবে।
৪। রমজান মাসের কত তারিখে শবে কদর পালন করা হয়?
উত্তরঃ রমজান মাসের শেষের দশ দিন অর্থাৎ নাজাতের ১০ দিন বিজোড় রাতগুলো হচ্ছে
শবে কদরের রাত। ( যেমনঃ ২১, ২৩, ২৫, ২৭, এবং ২৯ রমজান)।
৫। লাইলাতুল কদর বা শবে কদর কেন পালন করা হয়?
উত্তরঃ লাইলাতুল কদর বা শবে কদর এই রাতে পবিত্র আল-কুরআন নাযিল করা হয়েছে। তাই এই রাত এত ফজিলতপূর্ণ এবং বরকতময় বলেই শবে কদর পালন করা হয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন