লাইলাতুল কদরের ফজিলত - শবে কদরের গুরুত্ব ও ফজিলত

আপনি কি লাইলাতুল কদরের ফজিলতশবে কদরের গুরুত্ব ও ফজিলত জানতে চান? তাহলে আজকের এই লাইলাতুল কদরের ফজিলত সম্পর্কে পোস্ট টা আপনার জন্য। আমরা সকলেই জানি আরবি রমজান মাসের ২১,২৩,২৫,২৭,২৯ তারিখ পবিত্র  শবে কদর বা লাইলাতুল কদর । এই দিনে আমাদের পবিত্র কোরআন নাযিল হয়েছিল। আমরা এই পোস্ট টা পড়ে লাইলাতুল কদরের ফজিলত  নিয়ম জেনে নেই। এখানে ক্লিক করুন

লাইলাতুল কদরের ফজিলত


লাইলাতুল কদর বা শবে- লাইলাতুল কদর আরবী শব্দ যার অর্থ হলো বরকতময়, সম্মানিত বা মহামান্বিতরাত রাত। ফারসি ভাষায় একে শবে কদর বলা হয়। এই রজনীতে মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সারারাত নফল নামাজ, কোরাআন ও হাদীসের আলোকে জিকির, কবর জিয়ারত ও নিজের কৃত গুনাহের জন্য মাফ চেয়ে থাকে।

পেজ সূচিপত্রঃ লাইলাতুল কদরের ফজিলত - শবে কদরের গুরুত্ব ও ফজিলত 

লাইলাতুল কদর বা শবে কদর এর গুরুত্ব ও ফজিলত

পবিত্র কুরআন ও সহিহ হাদিস দ্বারা লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শবেবরাতনিয়ে এবং শবেবরাতের হাদিসগুলোর বর্ণনা নিয়ে হাদিস বিশেষজ্ঞ ও ফকিহদের মধ্যে যে সংশয় রয়েছে, লাইলাতুল কদরের ব্যাপারে তার কোনোই অবকাশ নেই। পবিত্র কুরআন, নির্ভরযোগ্য হাদিস এবং রাসূলুল্লাহ সা:-এর লাইলাতুল কদরের জন্য গৃহীত কর্মতৎপরতা লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

লাইলাতুল কদর এর ফজিলত - এ সম্মানিত রজনীর গুরুত্ব সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি কুরআনকে কদরের রাতে নাজিল করেছি। তুমি কি জানো, কদরের রাত কী? কদরের রাত হাজার মাস থেকেও উত্তম কল্যাণময়।সূরা আল্ কদর (১-৩)। এ রাতটি কোন মাসে? এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেন, ‘রমজান এমন মাস, যাতে কুরআন নাজিল হয়েছে।’ (বাকারা-১৮৫)। এখানে ক্লিক করুন

লাইলাতুল কদরের ফজিলত : এ রাতটি হাজার মাস থেকে উত্তম- কল্যাণময় (কুরআন)। এ রাতেই পবিত্র কুরআন নাজিল করা হয়েছে (কুরআন)। এ রাতে ফেরেশতা নাজিল হয় এবং আবেদ বান্দাহদের অবস্থা পর্যবেণ করেন। ফজর পর্যন্ত এ রাতে পুরাপুরি শান্তি ও নিরাপত্তার (কুরআন), এ রাতে প্রত্যেকটি ব্যাপারে অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত ও সুদৃঢ় ফায়সালা জারি করা হয় (কুরাআন)। এ রাতে ইবাদতে মশগুল বান্দাদের জন্য অবতরণকৃত ফেরেশতারা দোয়া করেন (হাদিস)।

লাইলাতুল কদর এ গুনাহ মাফ 

যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে ঈমান সহকারে ও আল্লাহর নিকট থেকে বড় শুভফল লাভের আশায় ইবাদতের জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে, তার পেছনের সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। (বুখারি-মুসলিম)। এ রাতে কল্যাণ থেকে একমাত্র হতভাগ্য লোক ছাড়া আর কেউ বঞ্চিত হয় না (ইবনে মাজাহ-মিশকাত)।

লাইলাতুল কদর এ কিয়ামুল লাইল 

কিয়ামুল লাইল অর্থ হলো রাত্রী জাগরণ। লাইলাতুল কদর এর ফজিলত - মহান আল্লাহর জন্য আরামের ঘুম স্বেচ্ছায় হারাম করে রাত জেগে ইবাদত করা আল্লাহর প্রিয় বান্দাহদের একটি গুণ। মহান আল্লাহ তার প্রিয় বান্দাহদের পরিচয় দিয়েছেন এভাবে তারা রাত্রি যাপন করে রবের উদ্দেশ্যে সিজদাবনত হয়ে ও দাঁড়িয়ে থেকে’ (সূরা-ফুরকান-৬৪) তাদের পার্শদেশ বিছানা থেকে পৃথক থাকে (অর্থাৎ তারা শয্যা গ্রহণ করে না; বরং এবাদতে মশগুল থাকে)। তারা (গজবের) ভয়ে এবং (রহমতের ) আশায় তাদের রবকে ডাকতে থাকে এবং আমি যা দিয়েছি তা থেকে দান করে থাকে। কেউ জানে না। তাদের আমালের পুরস্কারস্বরূপ (আখিরাতে) তাদের জন্য কী জিনিস গোপনে রাখা হয়েছেসূরা-সিজদা-১৬-১৭)।

আল্লাহর প্রিয় বান্দারা গোটা জীবনটাই এভাবে কাটান। আমাদের সে জীবনে প্রবেশ করতে হলে দরকার অধ্যবসায়। পবিত্র রমজান বিশেষ করে লাইলাতুল কদরের অনুসন্ধানের প্রচেষ্টা আমাদের পৌঁছতে সাহায্য করবে। এখানে ক্লিক করুন

লাইলাতুল কদর এর কুরআন অধ্যয়ন 

লাইলাতুল কদর এর ফজিলত - রাতে পবিত্র কুরআন নাজিল হয়েছে। মানব জতির এ বিরাট নিয়ামতের কারণেই এ রাতের এত মর্যাদা ও ফজিলত। এ কুরআনকে ধারণ করলেই মানুষ সম্মানিত হবে, দেশ ও জাতি মর্যাদাবান হবে; গোটা জাতির ভাগ্য বদলে যাবে। কাজেই এ রাতে অর্থ বুঝে কুরআন পড়তে হবে। কুরআনের শিাকে ব্যক্তি ও সমাজজীবনে প্রতিষ্ঠার শপথ গ্রহণ করতে হবে। বাছাইকৃত কিছু আয়াত এ রাতে মুখস্থও করা যেতে পারে। যাদের কুরআনের ওপর প্রয়োজনীয় জ্ঞান রয়েছে তারা এ রাতে একটি দারসও প্রস্তুত করতে পারেন। কুরআনের এ গভীর অধ্যয়ন আমাদের সৌভগ্যের দ্বার খুলে দেবে।

লাইলাতুল কদর রাতটি রমজানের কোন তারিখে

লাইলাতুল কদর রাত - রাসূলুল্লাহ সা: একটি রহস্যময় কারণে তারিখটি সুনির্দিষ্ট করেন নি। ইমাম বুখারি, ইমাম মুসলিম, ইমাম আহমদ ও ইমাম তিরমিজি কর্তৃক বর্ণিত হাদিসে বলা হয়েছে, হজরত আয়েশা রা: বর্ণনা করেছেন, নবী করিম সা: বলেছেন, ‘কদরের রাতকে রমজানের শেষ দশ রাতের কোনো বেজোড় রাতে খোঁজ করো।আরবি রমজান মাসের ২১,২৩,২৫,২৭,২৯ তারিখ কোনো বেজোড় রাতে খোঁজ করো। এখানে ক্লিক করুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post a Comment (0)

নবীনতর পূর্বতন