শিশুর পেট ব্যাথা কি - শিশুদের পেট ব্যাথার কারন কী - শিশুর পেট ব্যাথা হলে করনীয় কী - শিশুর পেট ব্যাথা কমানোর উপায় কী - শিশুদের পেট ব্যাথা কমানোর দোয়া কী - শিশুর হঠাৎ পেট ব্যাথা কমানোর উপায় কী - শিশুর পেট ব্যাথায় অতিরিক্ত যত্ন কেমনে নিবো।
পেজ সূচিপত্রঃ
- শিশুর পেট ব্যাথা
- শিশুদের পেট ব্যাথার কারন
- শিশুর পেট ব্যাথা হলে করনীয়
- শিশুর পেট ব্যাথা কমানোর উপায়
- শিশুদের পেট ব্যাথা কমানোর দোয়া
- শিশুর হঠাৎ পেট ব্যাথা কমানোর উপায়
- শিশুর পেট ব্যাথায় অতিরিক্ত যত্ন
শিশুর পেট ব্যাথাঃ
শিশুর পেট ব্যাথা - যেমন: চকলেট, জুস বা বাইরের জীবাণু পেটে গেলে পেটে ব্যথা করে। অনুষ্ঠানের ভারী খাবারও অনেকের সহ্য হয় না। পেটে সংক্রমণ বা গ্যাস, খাবারে অ্যালার্জি, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, প্রস্রাবে সংক্রমণ, বয়ঃসন্ধিকালের সমস্যা ছাড়াও টিউমার, অ্যাপেন্ডিসাইটিসসহ বিভিন্ন সার্জিক্যাল সমস্যায়ও শিশুর পেটে ব্যথা হতে পারে।
শিশুদের পেট ব্যাথার কারনঃ
শিশুদের পেট ব্যাথার কারন - কারণটা থাকে শিশুর মনের গভীরে। আজকাল মানসিক কারণে শিশুদের পেট ব্যথা হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে। অনেক শিশুর মানসিক কারণেও পেটব্যথা হতে পারে। স্নায়বিক চাপ, বিষাদ, অবসাদ, উৎকণ্ঠা, উদ্বেগ, পরিবার বা স্কুলে কোনো সমস্যা থেকে এ ধরনের পেটব্যথার উৎপত্তি।
শিশুর পেট ব্যাথা হলে করনীয়ঃ
শিশুর পেট ব্যাথা হলে করনীয় - কৃমি হলে পেটব্যথার সময়টিতে কৃমির ওষুধ না দিয়ে ব্যথা কমার দু-তিন দিন পর খাওয়ানো ভালো। ৩ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুর ঘন ঘন পেটব্যথার প্রায় ৯০ শতাংশ কোনো অসুখ ছাড়াই ঘটে থাকে, যাকে 'ফাংশনাল এবডোমিনাল পেইন' বলে। এ ধরনের ব্যথার নির্দিষ্ট কোনো চরিত্র নেই। মানসিক কারণে সাধারণত এমন সমস্যা হয়ে থাকে।
শিশুর পেট ব্যাথা কমানোর উপায়ঃ
শিশুর পেট ব্যাথা কমানোর উপায় - উষ্ণ স্নান উষ্ণ জলে আপনার বাচ্চাকে স্নান করানো পেট ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার একটি অসাধারণ উপায় । উষ্ণ জলে স্নান শরীরকে শিথিল করে এবং আপনার শিশুকে ভালোভাবে ঘুমাতে সাহায্য করে। আপনার বাচ্চাটির টাবটিকে অল্প গরম জল দিয়ে ভর্তি করুন এবং আপনার বাচ্চাকে টাবটিতে রাখুন।
শিশুদের পেট ব্যাথা কমানোর দোয়াঃ
শিশুদের পেট ব্যাথা কমানোর দোয়া - উচ্চারণ : 'আউজু বি-ইজ্জাতিল্লাহি ওয়া কুদরাতিহি মিন শাররি মা আজিদু ওয়া উহাজিরু। ' অর্থ : আল্লাহর মর্যাদা ও তার কুদরতের উসিলায় আমি যা অনুভব এবং ভোগ করছি, তা থেকে মুক্তি চাচ্ছি।
শিশুর হঠাৎ পেট ব্যাথা কমানোর উপায়ঃ
শিশুর হঠাৎ পেট ব্যাথা কমানোর উপায় - প্রচীনকাল থেকেই ব্যথা কমাতে এবং বমি ভাব দূর করতে আদাকে প্রকৃতিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এতে অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি ও প্রদাহ বিরোধী গুণ থাকায় এটি ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। তাই প্রকৃতিকভাবে পেটের ব্যথা কমাতে আদা কুঁচি করে অথবা চিবিয়ে খেতে পারেন। কলা ও আপেলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে।
শিশুর পেট ব্যাথায় অতিরিক্ত যত্নঃ
শিশুর পেট ব্যাথায় অতিরিক্ত যত্ন - বাড়ন্ত শিশুর একটা কমন সমস্যা হচ্ছে পেটে ব্যাথা। তাদের শরীর অনেক সংবেদনশীল।
- বাচ্চাদের খেলাধূলায় উৎসাহিত করতে হবে যেন কোষ্ঠকাঠিন্য না হয়।
- গ্যাস বা আলসারের কারনে হলে শিশু বিশেষজ্ঞ এর পরামর্শ নিতে হবে ।
- একবছরে বেশী বয়স হলে ওজন ও বয়স অনুপাতে কৃমির ঔষধ দিতে হবে।
- পেটে ব্যাথা যদি হঠাৎ করে বা নিয়মিত হয় তাহলেও বুঝতে হবে মারাত্মক কিছু।
- বেশী তেলে ভাজা, বা অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাদ্য বা জান্ক ফুড পরিহার করুন।
- পেটের উপর সহনীয় পর্যায়ে হালকা গরম শেক দিলে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় ফলে ব্যাথা কমে
- প্রতিদিন নিয়মিত টয়লেটের অভ্যাস করতে হবে নিদিষ্ট সময় এবং ১০-১৫ মিনিট সময় দিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ নবজাতকের গ্যাস - Newborn gas
- পেট ব্যাথায় শিশু শক্ত হ'য়ে গেলে,দীর্ঘ সময় ব্যাথা না কমলে,জ্বর, ডায়ারিয়া বমি,বমির সাথে রক্ত বা কোষ্ঠকাঠিন্য হলে দ্রুত শিশু বিশেষজ্ঞ দেখানো দরকার।
- অনেক বাড়ন্ত শিশু পেট ব্যাথা বলতে পারে এবং অনেকে বলতে পারে না তখন শিশুর অস্বাভাবিকতা,কান্নাকাটি বা অস্থিরতা দেখে বুঝতে হবে বাচ্চার পেটের ব্যাথা।
- শিশুর পেটে ব্যাথার কারণ গুলোর মধ্যে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশন, বদহজম, গ্যাস, খাদ্যে বিষক্রিয়া, পাকস্থলীতে ইনফেকশন, ফুড পয়জনিং কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্য।
- চিকিৎসক নিষেধ না করলে একটু করে ওটমিল,নরম ভাত,দই কিংবা টোষ্ট দিতে পারেন, যেগুলো সহজে হজম হয় এবং খাদ্য নালীকে দ্রত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে সাহায্য করে।
- পেট ব্যাথা একটা নিদিষ্ট জায়গায় হলে মনে রাখতে হবে এপেন্ডিসাইটিস বা পিত্তথলির কারনে হচ্ছে কিনা কিংবা আলসারও হতে পারে, মুত্রনালীর ইনফেকশনের জন্য পেট ব্যাথা হতে পারে ।
- বাসায় ঝগড়া বা ঝামেলা হলে বড়দের মত বাচ্চাদেরও মানষিক চাপ বাড়ে সেক্ষেত্রেও পেট ব্যাথা হতে পারে।মানষিক চাপ কমানোর জন্য বাচ্চাকে জড়িয়ে ধরুন, আদর করবেন ও প্রয়োজন কোলেপিঠে নিবেন।
- যদি শিশু ১০-১২বছরের বেশী হয় তা হলে খেয়াল রাখবেন স্কুল ভীতি বা হোম ওয়ার্ক এর জন্য হচ্ছে কিনা। বাচ্চাদের বুঝাতে হবে স্কুল একটা মজার জায়গা,অনেক নতুন বন্ধু হবে,খেলাধুলা করার ব্যবস্থা আছে, এভাবে স্কুলভীতি দুর করতে সাহায্য করবেন।
উপরে সকল বিষয় আপনাদের উপকার কারার জন্য দেওয়া আছে যদি কিছু ভুল হয় তাহলে আমাকে কমেন্ট করে যানাতে পারেন কারণ মানুষ মাত্র ভুল হয়। আর যদি আমর ওয়েব সাইট টি ভালো লেগে থাকে তবে চাইলে পাশে থাকতে পারেন।
এমবিবিএস
সহকারী রেজিস্ট্রার (শিশু বিভাগ)
বারিন্দ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী ।
ও
জেনারেল ফিজিশিয়ান
ডাক্তার খানা কৃষ্ণপুর শাখা ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন