শিশুর টিকা - শিশুর টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
সার সংক্ষেপঃ
শিশুর টিকা - শিশুর টিকা দেওয়ার পর করনীয় - শিশুদের টিকা দেওয়ার পর জ্বর - বিসিজি টিকার দাগ না হলে করনীয় - বিসিজি টিকার দাম - কেন টিকা দেবেন - শিশুর টিকা কয়টি - শিশুদের কয়টি টিকা দিতে হয় - শিশুর টিকা দেওয়ার সময়সূচী - শিশুর টিকা কার্ড - শিশুর টিকা কার্ড রেজিস্ট্রেশন - শিশুদের টিকা দেওয়ার সময়সূচী বাংলাদেশ
সূচিপত্রঃ
- শিশুর টিকাঃ
- বিসিজি টিকার দামঃ
- শিশুর টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ
- শিশুদের টিকা দেওয়ার পর জ্বরঃ
- নবজাতক শিশুর টিকার তালিকাঃ
- শিশুর টিকা দেওয়ার পর করনীয়ঃ
- বিসিজি টিকার দাগ না হলে করনীয়ঃ
- শিশুর টিকা দেওয়ার সঠিক কিছু নিয়মঃ
- সরকারি টিকাদান কর্মসুচির বাহিরেও কি ছুটিকা দেওয়া যায়ঃ
শিশুর টিকাঃ
শিশুর টিকা - শিশুর টিকা দেওয়ার পর করনীয় - শিশুদের টিকা দেওয়ার পর জ্বর - বিসিজি টিকার দাগ না হলে করনীয় - বিসিজি টিকার দাম - কেন টিকা দেবেন - শিশুর টিকা কয়টি - শিশুদের কয়টি টিকা দিতে হয় - শিশুর টিকা দেওয়ার সময়সূচী - শিশুর টিকা কার্ড - শিশুর টিকা কার্ড রেজিস্ট্রেশন - শিশুদের টিকা দেওয়ার সময়সূচী বাংলাদেশ নিয়ে মা-বাবার চিন্তার কমতি নেই, আজ আমরা সকল বিষয় সম্পর্কে জানবো।
আরও পড়ুনঃ শিশুর মেধা বিকাশে মায়ের ভূমিকা
শিশু খেতে চায় না এ প্রশ্ন সব মা-বাবার। মনে রাখতে হবে শিশুর টিকা - শিশুর আয়রন সমৃদ্ধ খাবার বেশী বাড়া বা কমা কোনটাই কাম্য নয়। শিশুর বয়সের সাথে সঠিক ভাবে শিশুর টিকা - শিশুর আয়রন সমৃদ্ধ খাবার বৃদ্ধি হচ্ছে কিনা সেটা গুরুত্বপূর্ণ। বাচ্চাদের স্বাস্থ্যকর খাবার অভ্যাস বজায় রাখা অনেক জরুরী। আমরা আজ জানব শিশুর টিকা - কি
বিসিজি টিকার দামঃ
শিশুর টিকা - শিশুর টিকা দেওয়ার পর করনীয় - বিসিজি টিকার দাগ না হলে করনীয় - বিসিজি টিকার দাম - বিসিজি টিকা প্রথম ১৯২১ সালে চিকিৎসামূলকভাবে ব্যবহৃত হয়েছিল। এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অপরিহার্য ওষুধগুলির তালিকায় আছে, যেগুলি মৌলিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ। ২০১৪ সালে একটি ডোজের পাইকারী দাম হল ০.১৬ মার্কিন ডলার। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে এর দাম হল ১০০ থেকে ২০০ মার্কিন ডলার।
শিশুর টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ
শিশুর টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া - শিশুদের টিকা দেয়ার পরে হালকা একটু জ্বর হবে এটা খুব স্বাভাবিক – এ নিয়ে ঘাবড়িয়ে যাওয়ার কোন কারণ নেই! কোন কারণে জ্বর না আসলে টীকায় কোন কাজ হয়নি এমনটা মনে করারও কোন কারণ নেই, বরং এ ক্ষেত্রে বুঝতে হবে শিশুটি শারীরিক ভাবে খুবই সুস্থ এবং টিকার প্রতিষেধক ক্ষমতাটি তার দেহে সঠিকভাবে স্থাপিত হয়েছে!
নবজাতক শিশুর টিকার তালিকাঃ
শিশুর টিকা - শিশুর টিকা দেওয়ার পর করনীয় - শিশুদের টিকা দেওয়ার পর জ্বর - বিসিজি টিকার দাগ না হলে করনীয় - বিসিজি টিকার দাম - কেন টিকা দেবেন - শিশুর টিকা প্রদানের তালিকা - ৬, ১০ ও ১৪ সপ্তাহে শিশুকে পোলিও টিকা (মুখে খাওয়ার ওপিভি), পেনটা ইনজেকশন (ডিপথেরিয়া, হুপিংকাশি, টিটেনাস, হেপাটাইটিস ও ইনফ্লুয়েঞ্জা — এই পাঁচ রোগের সম্মিলিত টিকা) দিতে হবে। নিউমোনিয়ার টিকা (পিসিভি ইনজেকশন) দিতে হবে ৬, ১০ ও ১৮ সপ্তাহে। * পোলিওর ইনজেকশন টিকা দেওয়া হয় ১৪ সপ্তাহে।
শিশুদের টিকা দেওয়ার পর জ্বরঃ
শিশুর টিকা - শিশুর টিকা দেওয়ার পর করনীয় - শিশুদের টিকা দেওয়ার পর জ্বর - বিসিজি টিকার দাগ না হলে করনীয় - বিসিজি টিকার দাম - কেন টিকা দেবেন - টিকা দেওয়ার পর অনেক সময় জ্বর আসতে পারে। এতে ভয়ের কিছু নেই। অনেক জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তা ছাড়া কোন সমস্যা হবে না এমন জর আসলে। তার পর ও আপনি নিজে নিজে ঘরোয়া ভাবে আপনার শিশুর যত্ন নিতে কম করবেন না।
শিশুর টিকা দেওয়ার পর করনীয়ঃ
শিশুর টিকা - শিশুর টিকা দেওয়ার পর করনীয় - শিশুদের টিকা দেওয়ার পর জ্বর - বিসিজি টিকার দাগ না হলে করনীয় - বিসিজি টিকার দাম - কেন টিকা দেবেন - আপনার শিশুকে খাওয়ান বাচ্চারা নির্দিষ্ট মুহূর্তে নির্দিষ্ট কাজের উপর মনোযোগ দিতে থাকে, তাই টিকা দেওয়ার পর আপনার শিশুকে খাওয়ালে তার মনকে ব্যথার দিক থেকে সরিয়ে নিতে এবং ব্যথা যথেষ্ট কমিয়ে দিতে সহায়তা করে। টিকার পরপরই আপনার শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো তাকে হাইড্রেটেড রাখে এবং জ্বর আসতে বাধা দেয়।
বিসিজি টিকার দাগ না হলে করনীয়ঃ
শিশুর টিকা - শিশুর টিকা দেওয়ার পর করনীয় - শিশুদের টিকা দেওয়ার পর জ্বর - বিসিজি টিকার দাগ না হলে করনীয় - বিসিজি টিকার দাম - কেন টিকা দেবেন - যদি না পাকে তাহলে কী হবে? বরং বিসিজি টিকা যদি না পাকে বা যদি দাগ না হয় তাহলে শিশুর শরীরে এই টিকার প্রয়োগ সঠিক হয়নি বা শিশুটির শরীরে এই টিকাটি কার্যকর হয়নি, তখন শিশুর মার উচিত স্বাস্থ্যকর্মীকে বিষয়টি জানানো, তাহলে শিশুকে আবার এই টিকা প্রয়োগ করা হবে।
শিশুর টিকা দেওয়ার সঠিক কিছু নিয়মঃ
- প্রথম ১৪দিনের মধ্যে নিতে হয়।
- এসময়ে ওপিভি ১ম ডোজ মুখে খাওয়াতে হয়।
- জন্মের ১৪দিনের মধ্যে টিকা শুরু করতে হবে।
- আমাদের দেশের প্রথম টিকা বিসিজি ও ওপিভি।
- একই ধরনের টিকার মধ্যে ৪ সপ্তাহ ব্যবধান রাখতে হবে।
- নিউমোনিয়া টিকা দেওয়া হয় ৪সপ্তাহে, ১০সপ্তাহে ও ১৪ সপ্তাহে।
- হাম রুবেলার টিকা দেয়া হয় ৯ মাস পুর্ন হলে ও ১৫মাসে। দুই ডোজ।
- অদুর ভবিষৎ এ আরো ভেকসিন যুক্ত হবে আমাদের ইপিআই কর্মসূচি তে।
- এর পর ৫রোগের বিরুদ্ধে ৪সপ্তাহের ব্যবধানে ৩বার টিকা নিতে হবে যা পেন্টাভেলেন্ট নামে পরিচিত।
- কেন টিকা দেবেনঃমারাত্নক রোগ থেকে মুক্তির উপায় টিকাদান। টিকা দিলে শুধু নিজের বাচ্চা সুরক্ষা পাবে না গোটা বাংলাদেশ সুরক্ষিত হবে।
আরও পড়ুনঃ শিশুর আয়রন জাতীয় খাবার
- এই পাঁচ টি রোগ হলো ডিপথেরিয়া, হুপিংকাশির, টিটেনাস, হেপাটাইটিস বি ও হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ বি।এই সময়ে পোলির দ্বিতীয়, ৩য়, চতুর্থ ডোজ দেওয়া হয়।
- বিসিজি যা হাতের উপরের বাহিরের অংশে দিতে হয়।বিসিজি টিকা নেয়ার ১মাস পর সাধারণত ঘা হয়, এতে ঘাবরানোর কিছু নাই বরঞ্চ ১৪ সপ্তাহের মধ্যে দাগ নাহলে পুনরায় নিতে হবে।
- বাংলাদেশ প্রথম ৬টি রোগ তথা হুপিং কাশির, ডিপথেরিয়া, টিটেনাস,পোলিও যক্ষা ও হামের ইপিআই কর্মসূচি চালু হয় পরবর্তী যুক্ত হয় হেপাটাইটিস বি, হাম রুবেলা ও মারাত্মক নিউমোনিয়া র টিকা।
- টিকার তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় না,হলেও খুব সামান্য যা টিকার স্থানে ব্যাথা হতে পারে,লাল হতে পারে, ফুলে যেতে পারে বা সামান্য জ্বর হতে।এগুলো এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। প্রয়োজন হলে শিশু বিশেষজ্ঞ এর পরামর্শে নিবেন।
সরকারি টিকাদান কর্মসুচির বাহিরেও কিছু টিকা দেওয়া যায়ঃ
- মেনিনজাইটিস এর টিকা দেওয়া যায়।
- এক সাথে একাধিক টিকা নিতে কোন সমস্যা নাই।
- ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা প্রতি বছরে একবার নিতে হয়
- হেপাটাইটিস -এ এক বছর পুর্ন হলে দিতে হয় দুই ডোজ দিতে হয়।
- রোটা ভাইরাস এর টিকা ৬সপ্তাহ থেকে শুরু করে ২ ডোজ দিতে হবে।
- জল বসন্তের টিকা সাধারণত ১৫ থেকে ১৮ মধ্যে শুরু করতে হয় এক ডোজ দিতে হয়।
- টাইফয়েড এর টিকা ২বছর থেকে ১৫বছর এর মধ্যে এই টিকা দেওয়া যায়।৩বছর পরপর নিতে হয়।
উপরে সকল বিষয় আপনাদের উপকার কারার জন্য দেওয়া আছে যদি কিছু ভুল হয় তাহলে আমাকে কমেন্ট করে যানাতে পারেন কারণ মানুষ মাত্র ভুল হয়। আর যদি আমর ওয়েব সাইট টি ভালো লেগে থাকে তবে চাইলে পাশে থাকতে পারেন।
এমবিবিএস
সহকারী রেজিস্ট্রার (শিশু বিভাগ)
বারিন্দ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী ।
ও
জেনারেল ফিজিশিয়ান
ডাক্তার খানা কৃষ্ণপুর শাখা ।
0 Comments
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন