পার্ট পরিচিতিঃ
মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর প্রাথমিক জীবন - মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর ব্যক্তিগত জীবন - মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর কর্মজীবন - মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর জনপ্রিয়তা - মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর বই - মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর সমালোচনা - মিজানুর রহমান আজহারীর তরুণদের জনপ্রিয়তা -
সূচিপত্রঃ
- মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর প্রাথমিক জীবন?
- মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর ব্যক্তিগত জীবন?
- মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর কর্মজীবন?
- মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর জনপ্রিয়তা?
- মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর বই?
- মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর সমালোচনা?
- মিজানুর রহমান আজহারীর তরুণদের জনপ্রিয়তা?
- মিজানুর রহমান আজহারীর দ্বীনের খিদমাত?
- উপসংহার
মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর প্রাথমিক জীবন?
মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর প্রাথমিক জীবন - মিজানুর রহমান ১৯৯০ সালের ২৬ জানুয়ারি ঢাকা জেলার ডেমরা থানায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস কুমিল্লা জেলার মুরাদনগরের পরমতলা গ্রামে। তার পিতা একজন মাদ্রাসা শিক্ষক ও মাতা গৃহিণী। ছোট বেলা থেকে তিনি মাদরাসায় পড়াশোনা করেন। পরে তিনি আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি পান। মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার কারণে তার নামের সাথে ‘আজহারী’ উপাধি যুক্ত হয়েছে।
মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর ব্যক্তিগত জীবন?
মিজানুর রহমান আজহারীর ব্যক্তিগত জীবন - মিজানুর রহমান ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হন। তার দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
মিজানুর রহমান আজহারীর শিক্ষাজীবন?
মিজানুর রহমান আজহারীর শিক্ষাজীবন - আজহারী দারুন্নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদরাসা থেকে যথাক্রমে ২০০৪ সালে দাখিল ও ২০০৬ সালে আলিম পাশ করেন। তিনি উভয় পরীক্ষাতেই বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডে মেধাতালিকায় শীর্ষ স্থান অধিকার করেন। ২০০৭ সালে ইসলামি ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত মিশরীয় সরকারের স্কলারশিপ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। পরবর্তীতে তিনি মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে তাফসির ও কুরআনভিত্তিক বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করেন।
আরও পড়ুনঃ জাযাকাল্লাহ খাইরান অর্থ
সেখান থেকে গ্র্যারজুয়েশন শেষ করে মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তার এমফিলের গবেষণার বিষয় ছিল ‘হিউম্যান এম্ব্রায়োলজি ইন দ্য হোলি কুরআন’ (পবিত্র কুরআনে মানব ভ্রূণবিদ্যা)। তারপর একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হন। তিনি ‘হিউম্যান বিহ্যাভিয়ারেল ক্যারেক্টারইসটিক্স ইন দ্য হোলি কুরআন অ্যান্ড অ্যানালিটিক্যাল স্টাডি’ (পবিত্র কুরআন ও বিশ্লেষণী গবেষণায় মানব আচরণগত বৈশিষ্ট্য)-এর ওপর ২০২১ সালের ডিসেম্বরের শেষের দিকে ভাইভার মাধ্যমে সফলভাবে পি.এইচ.ডি. গবেষণা সম্পন্ন করেন।
মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর কর্মজীবন?
মিজানুর রহমান আজহারীর কর্মজীবন - আজহারী ২০১০ সালে ইসলামি গজল ও কিরাত দিয়ে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। পরে তিনি এটিএন বাংলা টিভির একটি ইসলামি অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। ২০১৫ সালের শুরুর দিকে তিনি ওয়াজ-মাহফিল নিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। বৈশাখী টেলিভিশনে ‘ইসলাম ও সুন্দর জীবন’ শিরোনামের একটি অনুষ্ঠান করেছেন।
মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর জনপ্রিয়তা?
মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর জনপ্রিয়তা - ইসলাম ধর্মের অনুশাসন মেনে চলেও নিজেকে সমসাময়িকভাবে উপস্থাপন করা ও কুরআন-হাদিস বিষয়ক সহজ-সাবলীল ও গবেষণাধর্মী আলোচনার কারণে অল্প সময়ে তিনি বাংলাদেশের মুসলিম বিশেষত মুসলিম তরুণ সম্প্রদায়ের কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। তার মাহফিলে প্রায়শই তার মাধ্যমে বিভিন্ন ভিন্ন ধর্মাবলম্বী ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হন। তার তাফসির মাহফিলে সাধারণ মুসলিম ও তরুণদের ব্যাপক জনসমাগম দেখা যায়।
মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর বই?
মিজানুর রহমান আজহারীর বই - আজহারির প্রথম বই "ম্যাসেজ: আধুনিক মননে দ্বীনের ছোঁয়া" ২০২১ সালের অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়। বেলা ফুরাবার আগে
মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর সমালোচনা?
মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর সমালোচনা - ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে ১২ জন ভারতীয় হিন্দু অবৈধ ভিসায় বাংলাদেশে এসে তার হাতে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হলে তিনি গণমাধ্যমে সমালোচিত হন। দেশবিরোধী বক্তব্যের অভিযোগ এনে বিভিন্ন স্থানে তার মাহফিল এক ও একাধিকবার নিষিদ্ধ হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ আলহামদুলিল্লাহ অর্থ কি
২০২০ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে তাকে দেশবিরোধী মন্তব্য প্রদানকারী বলে এক সাংসদ কর্তৃক দাবি করা হয়। একই সময়ে ‘‘ঘরে ঘরে সাঈদীর জন্ম হোক’’ বলে মন্তব্য করায় বাংলাদেশের সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ তাকে "বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর প্রোডাক্ট" বলে অভিহিত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে মন্তব্য করেন।
মিজানুর রহমান আজহারীর তরুণদের জনপ্রিয়তা?
মিজানুর রহমান আজহারীর তরুণদের জনপ্রিয়তা - হাদীস হতে বর্নিত যে আল্লাহ যুবকদের ইবাদত বেশি বেশি কবুল করেন আমাদের আজহারী হুজুর যুবক তাফসীরকারক, সকল শ্রেণির যুবকদের কথা চিন্তা করে হেদায়তের বাণী শোনান তাতে করে অনেক যুবক আল্লাহর পথে ধাবিত হচ্ছেন এছাড়াও ইসলাম ধর্মের অনুশাসন মেনে চলেও নিজেকে স্মার্টভাবে উপস্থাপন করা যায়,
আরও পড়ুনঃ নবী মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে ১৩ টি ইতিহাস
তা মিজানুর রহমান আজহারীকে দেখলেই বোঝা যায়। তাই এ সময়ের যুবকরা তাকে খুবই পছন্দ করে। তার তাফসির মাহফিলে যুবকদের স্রোত দেখা যায়। তিনিও যুবকদের খুবই পছন্দ করেন। তাফসির মাহফিলে যুবকদের ভালো পথে চলার আহ্বান জানান।
মিজানুর রহমান আজহারীর দ্বীনের খিদমাত?
মিজানুর রহমান আজহারীর দ্বীনের খিদমাত - ছাত্র জীবনে থেকেই বক্তব্য দেয়ার অভ্যাস থাকায় দারস দানের পাশাপাশি তিনি বক্তব্যের মাধ্যমে দ্বীনের দাওয়াত দিতে থাকেন । এবং এখন তিনি বাংলা ভাষাভাষী আলেমদের মাঝে একজন সর্বজন বিদিত বক্তা হিসেবে স্বীকৃত। তিনি ডাঃ জাকির নায়েকের পীস টিভিতেও নিয়মিত লেকচার দিয়ে থাকনে। তিনি এ পর্যন্ত সউদী আরব, দুবাই, ভারত ও মালদ্বীপ বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশ গ্রহন করেছেন।
একেক বিষয়ের উপর তিনি দীর্ঘ দুই তিন ঘণ্টা বক্তব্য দেন কিন্তু তার মাঝে হাদীস ও হাদীসের অনুবাদ ছাড়া অন্য কিছু স্থান পায়না। ফলত তার প্রতিটি বক্তব্য এক একটি হাদিস।
উপসংহারঃ
ইসলামের কল্যাণের বিষয়গুলো মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হলো মিজানুর রহমান আজহারীর কাজ । হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,{বাল্লীগুনা আয়া } ‘তোমরা আমার পক্ষ থেকে একটি আয়াত হলেও পৌঁছে দাও।’ (জামে তিরমিযি)।
আরও পড়ুনঃ মাশাআল্লাহ অর্থ
বিদায় হজের ভাষণে মহানবী (সা.)–এর সর্বশেষ বাক্য ছিল, ‘তোমরা যারা উপস্থিত রয়েছ তারা যেন অনুপস্থিতদের কাছে পৌঁছে দাও।’ (সিরাতে ইবনে হিশাম)। দাওয়াত তাবলিগের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো সৎকাজে আদেশ ও মন্দ কাজে নিষেধ করা। মিজানুর রহমান আজহারীর সেই দাওয়াতের একটি ক্ষুদ্র অনলাইন মাধ্যম।
উপরে সকল বিষয় আপনাদের উপকার কারার জন্য দেওয়া আছে যদি কিছু ভুল হয় তাহলে আমাকে কমেন্ট করে যানাতে পারেন কারণ মানুষ মাত্র ভুল হয় । আর যদি আমর ওয়েব সাইট টি ভালো লেগে থাকে তবে চাইলে পাশে থাকতে পারেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন