শিশুর নিউমোনিয়া - শিশুদের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
সূচিপত্রঃ
- শিশুর নিউমোনিয়া
- নিউমোনিয়া কত প্রকার
- নিউমোনিয়া রুগীর খাবার
- নিউমোনিয়ার ইনজেকশন
- নিউমোনিয়ার টিকার দাম কত
- শিশুদের নিউমোনিয়া হলে করণীয়
- নিউমোনিয়ার টিকা কখন দিতে হয়
- শিশুদের নিউমোনিয়ার লক্ষণগুলো
- শিশুদের নিউমোনিয়া রোগের চিকিৎসা
- শিশুদের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
- শিশুর নিউমোনিয়ার অতিরিক্ত যত্ন নিতে আমদের যা করতে হবেঃ
শিশুর নিউমোনিয়াঃ
এই প্রদাহ যখন জীবাণুঘটিত বা সংক্রমণজনিত হয়ে রোগ তৈরি হয়, তখন এটিকে নিউমোনিয়া বলে। জ্বর ও ক্লান্তি অনুভব করা, মাত্রাতিরিক্ত ঘাম ও কাশি হওয়া, শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্ট, বুকব্যথা ও শরীরে কাঁপুনি, মাথাব্যথা ও শরীরের মাংসপেশি ব্যথা, খাওয়ার প্রতি অনীহা ও বমি বমি ভাব। নিউমোনিয়ার কিছু ভ্যাকসিন বের হয়েছে।
নিউমোনিয়া কত প্রকারঃ
এইভাবে আমরা লোবার নিউমোনিয়ার সাথে পার্থক্য করতে পারি, যা ফুসফুসযুক্ত দুটির পুরো লবকে প্রভাবিত করে; ব্রঙ্কোপোনিউমোনিয়া, যা উভয় ফুসফুসকেই প্রভাবিত করে পাশাপাশি এয়ার ট্রান্সপোর্ট রুটগুলি (ব্রোঞ্চি); নিউক্রোনাইজিং নিউমোনিয়াস, যে শ্বাসযন্ত্রের প্রভাবিত অঞ্চলগুলি নেক্রোসিস বা টিস্যু মৃত্যুর সূত্রপাত করে; বা আন্তঃস্থায়ী
নিউমোনিয়া রুগীর খাবারঃ
রোগীকে যথেষ্ট বিশ্রামে থাকতে হবে এবং প্রচুর পরিমানে পানি ও তরল খাবার (পুষ্টিকর তরল খাবার যেমনঃ ফলের রস, চা ইত্যাদি) খেতে হবে। পানি ও তরল খাবার পানিশূন্যতা রোধের পাশাপাশি বুকের শ্লেষ্মাকে পাতলা করতে সাহায্য করে। শরীর ও শ্বসনতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে প্রচুর পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
নিউমোনিয়ার ইনজেকশনঃ
চিকিৎসা নির্ভর করছে সংক্রমণের ধরণের উপর যা নিউমোনিয়া ঘটায়। যদি নিউমোনিয়া কোনও ভাইরাসঘটিত সংক্রমণের কারণে ঘটে, কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসা প্রযুক্ত হয়না এবং ব্যক্তির স্বাস্থ্য সচরাচর নিজের থেকেই ভাল হয়ে যায়। জীবাণুঘটিত নিউমোনিয়ার ক্ষেত্রে, অ্যান্টিবায়োটিকগুলি ব্যবহার করা হয়।
নিউমোনিয়ার টিকার দাম কতঃ
এক্ষেত্রে তাকে একটি ভ্যাকসিনের জন্য দাম গুনতে হয়েছে ২ হাজার ৪০০ টাকা, যা এক বছর আগেও ছিল ১ হাজার ২০০ টাকা। চিকিৎসকরা জানান, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুকে সুস্থ করে তুলতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হয়। অন্যথায় শিশুর মৃ
শিশুদের নিউমোনিয়া হলে করণীয়ঃ
শিশুকে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুর কাছ থেকে দূরে রাখতে হবে। এ ছাড়া হাঁচি-কাশি আক্রান্ত লোকের সামনে থেকে শিশুদের দূরে রাখুন। সবসময় ধুলাবালি থেকে দূরে রাখুন। শিশুকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় রাখুন।
নিউমোনিয়ার টিকা কখন দিতে হয়ঃ
নিউমোনিয়ার টিকা (পিসিভি ইনজেকশন) দিতে হবে ৬, ১০ ও ১৮ সপ্তাহে। * পোলিওর ইনজেকশন টিকা দেওয়া হয় ১৪ সপ্তাহে। হাম ও রুবেলার টিকা (এমআর ইনজেকশন) দেওয়া হয় পূর্ণ নয় মাস এবং ১৫ মাস বয়সে। * বেসরকারি পর্যায়েও নানা ধরনের টিকা দেওয়া হয়।
শিশুদের নিউমোনিয়ার লক্ষণগুলোঃ
নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের কিছু কিছু লক্ষণ দেখে বুঝে নিতে হয়। এ রোগের প্রধান লক্ষণগুলো হলো_ কাশি, দ্রুত শ্বাস নেওয়া, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা ও জ্বর। এ রোগে আক্রান্ত হলে সাধারণত শুরুতে কাশি ও জ্বর হয়। কাশির সঙ্গে দ্রুত শ্বাস নেওয়া এবং শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।
শিশুদের নিউমোনিয়া রোগের চিকিৎসাঃ
এ সময় শিশুর গোসলে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন। শীতে শিশুদের ডায়াপার ঘন ঘন পরিবর্তন করা উচিত। এই রোগের চিকিৎসা সাধারণত নির্ভর করে কী ধরনের নিউমোনিয়া রোগীকে আক্রমণ করছে তার ওপর। তাই ওপরের লক্ষণগুলো দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
শিশুদের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকারঃ
নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের কিছু কিছু লক্ষণ দেখে বুঝে নিতে হয়। এ রোগের প্রধান লক্ষণগুলো হলো_ কাশি, দ্রুত শ্বাস নেওয়া, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা ও জ্বর। এ রোগে আক্রান্ত হলে সাধারণত শুরুতে কাশি ও জ্বর হয়। কাশির সঙ্গে দ্রুত শ্বাস নেওয়া এবং শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।
শিশুর নিউমোনিয়ার অতিরিক্ত যত্ন নিতে আমদের যা করতে হবেঃ
শিশুর লক্ষন গুলো সুনির্দিষ্ট নাও হতে পারে। সর্দি কাশি,শ্বাসকষ্ট, শ্বাসের গতি বেড়ে গেলে ও জ্বরের সাথে শ্বাসে শো শো শব্দ ও খাওয়ানো অসুবিধা হতে পারে। শ্বাসের গতি বেড়ে যাওয়া মানে ২মাসের কম বয়সের বাচ্চাদের মিনিটে ৬০ বা তার বেশি, ২মাস থেকে ১২মাসের মধ্যে মিনিটে ৫০বার
- বুকে তেল বা বাম ব্যবহার করা উচিত নয়।
- নাক বন্ধ হলে Nosomist নাকের ড্রপ দিতে হবে।
- কাশি চিন্তা করবেন না এটা ভালো হতে সময় লাগে।
- হাঁচি কাশি আক্রান্ত ব্যাক্তি থেকে শিশু কে দুরে রাখুন।
- বাহির থেকে আসলেই হাত ধোঁয়ার অভ্যাস করতে হবে।
- তার বেশি এবং ১২মাস থেকে ৫বসরের বাচ্চার মিনিটে ৪০বা তার বেশি।
- শুষ্ক ও ধুলোবালি যুক্ত আবহাওয়ার কারণে শীতে সর্দিকাশি শ্বাসকষ্ট বেশি হয়।
- নিমোকক্কাস,হিমোফাইলাস ও হাম রুবেলার টিকা দিলে প্রকোপ কমানো সম্ভব।
- শিশুকে ধুলা বালি আগুনের ধোঁয়া কোয়েল স্প্রে ও ধুমপান থেকে রক্ষা করতে হবে।
- নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব। নিউমোনিয়া সহ অন্যন্য ভেকসিন সময়মত দিতে হবে।
- নাকে পানি বা এলার্জি জনিত সমস্যা হলে Ketof syp বয়স ও ওজন অনুপাতে দিতে হবে।
- প্রয়োজনে দরজা জানালা খুলে রাখুন। ঘরে যেন কোন গ্যাস না থাকে,ঘরের পরিবেশ উষ্ণ রাখুন।
- ঠান্ডা যেন কোন ভাবে ই না লাগে সেজন্য শীতে হাত মোজা,পা মোজা ও টুপি পরিয়ে রাখতে হবে
- Balance diet দিতেই হবে। শিশু র নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে বয়স অনুপাতে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- শিশু র বেশী শ্বাসকষ্ট হলে সব কিছু বমি করলে, বাচ্চা অজ্ঞান হয়ে গেলে বা খিচুনি হলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করাবেন।
- প্রয়োজন এ Nebulization দিতে হবে Windel plus দিয়ে বা শুধু মাত্র normal saline দিয়ে বয়স অনুযায়ী।
- সাধারণত নিউমোনিয়া ভাইরাস,ব্যাক্টেরিয়া ও ছত্রাকের মাধ্যমে হয়ে থাকে। ফুসফুসের এক ধরনের ইনফেকশন এর নাম নিউমোনিয়া।
- শীতে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। গোসলের পর শিশুর শরীরে অলিভ অয়েল বা ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ তেল ব্যবহার করবেন।
- প্রতিদিন ২/৩ বার জ্বর এর মাত্রা দেখতে হবে।জ্বর ১০০ বা তার উপরে গেলে Paracetamol syp দিতে হবে। তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে কিনা সেটা খেয়াল রাখতে হবে।
- চিকিৎসা শুরুর ৪৮ ঘন্টার মধ্যে উন্নতি না হলে বা খারাপের দিকে গেলে বা জ্বর বেড়ে গেলে বা নতিয়ে পরলে খেতে না পারলে অবশ্যই হাসপাতালে দেখানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
- সাধারণত নিউমোনিয়া চিকিৎসা বাড়িতেই সম্ভব। এজন্য সঠিক ঔষধের পাশাপাশি খাবারের দিকে নজর দিতে হবে। ৬মাস পর্যন্ত শুধু মাত্র মায়ের দুধ খাওয়া তে হবে এবং ২বসর পর্যন্ত মায়ের দুধ চালিয়ে যেতে হবে।
- জন্ম থেকে যে কোন বয়সে নিউমোনিয়া হতে পারে। তবে ৫ বসরের নীচের বাচ্চাদের প্রকোপ বেশি। ঠিক মত মায়ের দুধ না খাওয়ানো, সময়মত টিকা না দেয়া,ঘনবসতি, স্যাতসেতে পরিবেশ বসবাস ও যে ঘরে ধুমপান হয় তাদের Risk বেশি।
উপরে সকল বিষয় আপনাদের উপকার কারার জন্য দেওয়া আছে যদি কিছু ভুল হয় তাহলে আমাকে কমেন্ট করে যানাতে পারেন কারণ মানুষ মাত্র ভুল হয়। আর যদি আমর ওয়েব সাইট টি ভালো লেগে থাকে তবে চাইলে পাশে থাকতে পারেন।
এমবিবিএস
সহকারী রেজিস্ট্রার (শিশু বিভাগ)
বারিন্দ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী ।
ও
জেনারেল ফিজিশিয়ান
ডাক্তার খানা কৃষ্ণপুর শাখা ।
0 Comments
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন