মেধা শক্তি বাড়ানোর কার্যকারী দোয়া - ঘরে বসে মেধা শক্তি বাড়ান

এছাড়াও, বিভিন্ন শাকসবজি, পালং শাক, বিভিন্ন ফল, সামুদ্রিক মাছ, বাদাম, তেলের বীজ, বিনস্ ইত্যাদি মস্তিষ্কের জন্য উপকারি। স্মরণশক্তি বাড়ানোর আর এক উপায় হল মেডিটেশন। এর ফলে আমাদের মনের চিন্তা ও চাপ অনেকটাই কমে যায়। আর, এই মেডিটেশন করলে যেকোনও কাজেই মনোযোগ বাড়ে এবং ব্রেনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

আপনারা নিচের যে সব বিষয় দেখবেন সেগুলো আপনাদের সকলের জানা বিষয় সুধু আমি আপনাদের একটি বার সরণ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছি মাত্র যদি কিছু কথা ভুল হয়ে থাকে তাহলে আপনারা কমেন্ট করে বলে দিবেন প্লিজ।

মেধা শক্তি বাড়ানোর ঘরোয়া উপাই। Domestic ways to increase intellectual power

আরও পড়ুনঃ ইসলাম আত্মহত্যাকে কঠোরভাবে দেখেWhat does Islam say suicide?

আমাদের অনেকেরই এমন ধরণের সমস্যা এখন প্রতিনিয়ত হয় যে কিছু জিনিস হুট করে মনে পড়ে না। অনেক চেষ্টা করেও কিছু মনে পড়েই না। বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রী যারা তারা পরীক্ষার কেন্দ্রে জানা জিনিস অনেক সময় ভুলে যায়। এতে রেজাল্ট খারাপ হয়। তাই আজ মেধা শক্তি কমার কারণ এবং কিভাবে তা বাড়ানো যায় তা আলোচনা করবো।

১। নানা নরকমের ভারী চিকিৎসায় ব্যবহৃত উচ্চ পাওয়ার এর ঔষুধ আমাদের ব্রেনের স্মৃতি শক্তি ধারণ করার অংশ কে ক্ষতি গ্রস্থ করে। এতে করে আমাদের মেধা শক্তি কমে যায়। এছাড়াও শরীরে ভিটামিন বি.১২ এর ঘাটতি দেখা দিলে, দীর্ঘ দিন ধরে অ্যালকোহল সেবন করলে , মস্তিষ্কে টিউমার বা ইনফেকশন হলে, 

মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধলে স্মৃতি নষ্ট হতে পারে বা ডিমেন শিয়া হতে পারে। বিভিন্ন ধরণের রোগ যেমণঃ থাইরয়েডের সমস্যা, কিডনি অথবা লিভারের সমস্যা থেকে ও স্মৃতি বৈকল্যের সমস্যা হতে পারে। তাই এই ধরণের গুরুতর শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নেয়া প্রয়োজন।

২। বিভিন্ন ধরণের মানসিক সমস্যা যেমন- উদ্বিগ্নতা, ডিপ্রেশন, স্ট্রেস ইত্যাদি মানুষকে অনেক বেশি ইফেক্ট করে। এই ক্ষেত্রে যারা অবসর সময় কাটায় তারা বেশি সমস্যায় ভুগে। কারণ অলসম স্তিষ্ক শয়তানের বাসা। 

আবার কারো প্রিয় জনের হারনোর কষ্টে বা চিন্তায় তারা দুঃখিত, চিন্তিত, নিঃসঙ্গ বা উদাস অনুভব করে। জীবনের এই পরিবর্তন গুলো অনেকে সহজ ভাবে মেনে নিতে পারে না। এক্ষেত্রে স্মৃতি শক্তি কমে যাওয়ার প্রবণতা থেকে যায়।

৩। নিয়মিত ঘুম না হলে মস্তিষ্ক প্রয়োজনীয় বিশ্রাম পায় না। দীর্ঘ দিন ধরে যারা অনিদ্রায় ভুগছেন, তাদের মধ্যে স্মৃতি শক্তিক মেযাওয়ার প্রবণতা দেখা দিতে পারে।

৪। দীর্ঘ দিন ধরে একাকীত্ব ও হতাশায় ভুগলে স্মৃতি শক্তিক মেযা ওয়ারস ম্ভাবনা রয়েছে।

৫। হেড ফোনে উচ্চ শব্দে গান শুনলে স্মৃতিতে এর প্রভাব পড়ে। বর্তমানে অনেকেই এই ধরণের ভুল করে থাকে। কানে হেড ফোন লাগিয়ে উচ্চ শব্দে গান বাজায়। এতে করে সে বাইরের শব্দ শুনতে পারে না। কানের খুব কাছে থেকে উচ্চ শব্দে গান বাজার কারনে ব্রেন ক্ষতি গ্রস্থ হয়। তাই এই ধরণের কাজ পরিহার করা ই বুদ্ধি মানের কাজ।

আরও পড়ুনঃ  যৌনতা নিয়ন্ত্রণ করার সেরা উপায়। Ways to control sexuality

৬। ধূমপানে আসক্ত হয়ে গিয়ে আর তা ছাড়তে না পারা এক ধরণের কারণ স্মৃতি শক্তি কমে যাওয়ার । আর বর্তমান সময়ে এই ধূমপানে আসক্ত মানুষের কোন অভাব নেই। এবং এই ধূমপানে আসক্ত মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে ই যাচ্ছে। বর্তমানে ছোট বড় সবাই এই ধুম পানে আসক্ত হয়ে উঠছে। 

এর কারণে আমাদের বর্তমান জেনারেশন অনেক বড় ক্ষতির মুখে আছে। ধুমপান যে শুধু আমাদের ব্রেনের ক্ষতি করে তাই না এর সব চেয়ে বড় ক্ষতি হলো এটি আমাদের ফুসফুস কে ক্যান্সার আক্রান্ত করে। তাই যত দ্রুত সম্ভব আমাদের নিজেদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

১। ব্যায়ামঃ ব্যায়াম করলে দেহের পেশির সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের আকার ও বৃদ্ধিপায়, মস্তিষ্কের সিন্যাপসের সংখ্যা বাড়ে। এর ফলে মগজে নতুন-নতুন কোষ তৈরি হয়। ব্যায়ামের ফলে মস্তিষ্কে বেশি পরি মাণে অক্সিজেন এবং গ্লুকোজ সরবরাহ হয়। 

আর কেউ যদি খোলা জায়গায় ব্যায়াম করে, তাহলে বাড়তি পাওনা হলো ভিটামিন ডি। প্রাকৃতিক ভিটামিন ডি আমাদের শরীর এবং মস্তিষ্কের জন্য খুব ইউপকারী। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করলে ও মস্তিষ্কের উন্নতি হয় এবং স্মৃতি-শক্তি বাড়ে।

২। সৃজনশীলতাঃ মগজের শক্তি বৃদ্ধির আরেক টা পথ হলো নতুন কোনো কাজ করার জন্য মস্তিষ্ককে চ্যালেঞ্জ করা। ছবি আঁকা কিং বা বিদেশি ভাষা শিক্ষার মধ্য দিয়ে এটা করা সম্ভব। সৃজনশীলতায় মানুষ কে নতুন-নতুন ভাবতে হয় যার জন্য মস্তিষ্কের কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

৩। পর্যাপ্ত ঘুমঃ সময় মতো ঘুমিয়ে সময় মতো উঠার মাধ্যমে ও মেধা কে সুস্থ্য রাখা যায়। ঘুম হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। ঘুমের মাধ্যমে মস্তিষ্ক বিশ্রাম পায়। বেশি ঘুমের কারনে ও আবার মস্তিষ্ক নষ্ট হয়ে যায়। স্মৃতি শক্তি লোপ পায়। তাই সময় মতো পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে মেধা-শক্তি বাড়ানো যায়।

৪। অপ্রয়োজনীয় বিষয় গুলো থেকে দূরে থাকাঃ প্রয়োজনীয় বিষয় গুলো স্মৃতিতে জমা রাখতে অপ্রয়োজনীয় বিষয় ও কাজ ছেড়ে দেয়া জরুরি। অনেক সময় দেখা যায় অনেক গুলো জিনিস গণনা করতে গেলে একটু থেমে গেলেই পূর্বের অংক আর মনে পরে না। 

শেষ কত অবধি গণনা করা হলো সেটা মনে না পড়ায় আবার প্রথম থেকে গণনা করতে হয়। এর মূল কারণ হলো অ মনযোগিতা। অযথা আড্ডা-গান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সময় ব্যয়না করা।

৫। মাছঃ মানব শরীরে অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি অ্যাসিড উৎপন্ন হতে পারে না তাই খাবারের মাধ্যমে তা গ্রহণ করতে হয়। তৈলাক্ত মাছ যেমন- স্যামন, সারডিন-সহমিঠা পানি ও সামদ্রিক মাছ থেকে অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি অ্যাসিডগ্রহণ করলে মস্তিষ্ক ভালো থাকে।

৬। স্ট্রবেরিঃ ২০১২ সালে যুক্ত রাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব নারী সপ্তাহে অন্তত এক কাপ স্ট্রবেরি ও ব্লুবেরি খান তাদের মানসিক পতন যারা খান না তাদের তুলনায় আড়াই বছর ধীরে হয়।

৭। টমেটোঃ কয়েক টি গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গেছে, টমেটো তেলাই কোপেন নামক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট পাওয়া যায় যা কোষের রেডি কলক্ষয়ের বিরুদ্ধে কাজ করে। ফলে স্মৃতির অবক্ষয় হ্রাস পায়। তাই প্রতিদিন সালাদ হিসেবে টমেটো খেলে আপনার স্মৃতি শক্তি বাড়বে।

আরও পড়ুনঃ রানের চিপায় চুলকানির সমাধান। Solution of itching in the run 

৮। পালংশাকঃ পাতা বহুল এই সবজি খুব ইউপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে, এর ভিটামিন “ই”মস্তিষ্কে বয়সের প্রভাব ও স্মৃতির অবক্ষয় কমাতে সাহায্য করে। ২৫০ গ্রাম পালংশাকে দৈনিক চাহিদার ১৫ শতাংশ ভিটামিন  “ই” থাকে। তাই এই সব সবজি খাওয়ার মাধ্যমে স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধিকরা যায়।

৯। ব্রেনটনিকঃ এক ধরণের হোমিও ঔষুধ। এই ঔষুধ সেবনে ব্রেন পর্যাপ্ত পুষ্টি পেয়ে থাকে যা ব্রেন কে সুস্থ্য রাখতে সহায়তা করে এবং স্মৃতি-শক্তি বাড়াতে সাহায্যকরে।

ভাবুন এবং ইতিবাচকভাবে কথা বলুনঃ

নিজের সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণার কথা বলুন। এটি প্রথমে অদ্ভুত লাগতে পারে এবং মনে হতে পারে তবে ক্রমাগত অনুশীলন এটিকে আপনার জীবনধারার অংশ করে তুলবে। আপনার মস্তিষ্কে বিশ্বাস করুন, নিজেকে বিশ্বাস করুন, ঘন ঘন ইতিবাচক উপায়ে নিজেকে নিশ্চিত করুন। 

এই ব্যায়ামগুলির মধ্যে কিছু বা সমস্তগুলিতে নিযুক্ত হন এবং আপনার মস্তিষ্ক এটির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাবে।

মানসিক চাপ কমাতেঃ

শিথিল করতে মনে রাখবেন। স্ট্রেস স্মৃতিশক্তি হ্রাস এবং মস্তিষ্কের কোষ ধ্বংসে অবদান রাখে। শিথিল করতে, বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে, আপনার মনকে কমিয়ে দিন, আত্মীয়দের সাথে দেখা করুন, একটি বই পড়ুন। শুধু সাধারণত আপনার চুল নিচে নামিয়ে এবং বিভ্রান্তি দূরে রাখা একটি উপায় খুঁজে

আরও পড়ুনঃ .বিবাহিতা অনিয়মিত মাসিক নিয়মিত কারার ৫ টি উপায়

একটি নতুন কারুশিল্প / শখ শিখুনঃ

আপনি ফটোগ্রাফি, সেলাই বা কোডিং এ আগ্রহ নিতে পারেন। একটি নতুন আগ্রহ বা শখ শেখার জন্য সময় বের করা আপনার মস্তিষ্কের শক্তি বাড়ানোর একটি শক্তিশালী উপায় হতে পারে। একটি বাদ্যযন্ত্র বাজাতে শেখা, একটি দ্বিতীয় বা তৃতীয় ভাষা আপনার মস্তিষ্কের মোটর নিয়ন্ত্রণ, শ্রবণশক্তি এবং সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনার দক্ষতা বাড়াতে প্রয়োজন।

শুনুনঃ

যে কোনো সময় আপনি নিজেকে এমন ক্রিয়াকলাপে জড়িত দেখতে পান যেগুলির জন্য যোগাযোগের প্রয়োজন হয়, যা বলা হচ্ছে তার উপর আপনার মন এবং চিন্তাকে কেন্দ্র করে আপনার গভীর শোনার দক্ষতা অনুশীলন করুন। একটি বিরতি নিন, গভীর শ্বাস নিন, আপনি যে শব্দগুলি শুনছেন তা আপনার মনে স্থির হতে দিন, আপনার হৃদয় দিয়ে শুনুন; আপনি একটি প্রতিক্রিয়া দেওয়ার আগে শব্দগুলি আপনাকে কেমন অনুভব করে তা লক্ষ্য করুন।

উচ্চারণ- রাব্বি জিদনি ইলমা। অর্থ— হে আমার পালনকর্তা! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন। এই দোয়া নিয়মিত পাঠ করলে স্মরণশক্তি বৃদ্ধি লাভ করে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post a Comment (0)

নবীনতর পূর্বতন