আমরা যা জানবঃ
এডোবি ফটোশপের ইতিহাস
এডোবি ফটোশপ আবিষ্কার করেন
এডোবি ফটোশপের বিভিন্ন টুলের কাজ
এডোবি ফটোশপের ভার্শন গুলো এবং ডাউনলোড
বর্তমানে ছবি এডিট করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট করার একটা ট্রেন্ড চলছে। প্রতিযোগীতা বললেও ভুল হবে না। বেশির ভাগ মানুষ এগুলো স্মার্টফোনের বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু যাদের পিসি বা ল্যাপটপ আছে তারাও যদি এই একি রকম কাজ করে তবে তা হবে বোকামি। জিনিসটা এমন হবে যে, হাতের কাছের সগোল্লা রেখে চিনি খাওয়া নিয়ে ব্যাস্ততা।
আরও পড়ুনঃ ইসলাম আত্মহত্যাকে কঠোরভাবে দেখে। What does Islam say suicide?
কারণ একটি স্মার্টফোনের পারফরমেন্স কখনোই পিসি বা ল্যাপটপের মতো হবে না। আর পিসি বা ল্যাপটপের জন্য যেধরণের সফটওয়্যার গুলো ডেভেলপ করা হয় তা অবশ্যই স্মার্টফোনে ব্যবহৃত অ্যাপগুলো থেকে কয়েকশ গুণ ভালো হবে। তাই আসুন, আমাদের যাদের ল্যাপটপ বা পিসি আছে তারা চিনিখাওয়া বাদ দিয়ে এবার একটু রসগোল্লা চেখে দেখি।
পিসি বা ল্যাপটপে ছবি এডিট এর কথা আসলেই সবার প্রথমে যে নামটি মাথায় আসে সেটি হলো এডোবি ফটোশপ। কারন এর মতো নিখুঁত ভাবে এডিটিং অন্য কোন সফটওয়্যার দিয়ে করা সম্ভব নয়। আমরা যে অফিশিয়ালি ছবি গুলো তুলে থাকি অর্থাৎ ছবির দোকান গুলো তে কিন্তু এই সফটওয়্যার ব্যবহার করেই ছবি এডিটিং এর কাজ করা হয়।
ফটোশপ ১৯৮৭ সালে থমাস এবং জননল দ্বারা আবিষ্কৃত হয়েছিল। থমাস এবং জননল হলেন দুই ভাই। তারপর এটি এডোবি প্রতিষ্ঠান কিনে নেয়। এবং নাম হয় এডোবি ফটোশপ। ফটোশপ ভার্সন ১.০ ফেব্রুয়ারী ১৯, ১৯৯০সালে প্রকাশিত হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ ওয়েব সাইট বানিয়ে টাকা ইনকাম
এটি তে প্রায় ২৪ রকমের টুলস আছে। ২৪ টির প্রতিটি টুলসের মধ্যে আরো একাধিক অপশন জনিত টুলস রয়েছে। এসব টুলস দিয়ে আলাদা-আলাদা কাজ সম্পাদন করা যায়। প্রতিটির কাজ ও আলাদা।
ছবি কাটিং থেকে শুরু করে ছবির নির্দিষ্ট আকার দেয়া, ছবির ব্যাক গ্রাউন্ড, ফ্রন্ট গ্রাউন্ড পরিবর্তন, ছবির মধ্যে লিখা সহ সব ধরনের কাজ এই সফটওয়্যার দিয়ে করা যায়। নিচে কয়েক টি টুলস সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ
১. কাস্টম ব্রাশেস এন্ড ব্রাশ টুলসঃ ব্রাশ টুলটি সাধারণত ব্যবহার করা হয় কোন আর্টকে কালার দেওয়ার জন্য। এখানে বিভিন্ন ধরনের ব্রাশসেটিং এর মাধ্যমে ছবির উপর কালার করা যায়।
২. কাস্টম ফন্টস এন্ড টেক্স টটুলসঃ এর সাহায্যে বিভিন্ন ধরণের বাস্টা ইলের ফন্ট দিয়ে ইচ্ছে মতো লিখতে পারা যায়।
৩. সিলে ক্টটুলঃ এর মাধ্যমে ছবির বিভিন্ন অংশ সিলেক্ট করে কেটে ফেলা যায়। কপি পেষ্ট এর মতো কাজ করা যায়।
৪. মুভ টুলসঃ এই টুলের সাহায্যে ছবি এক স্থান থেকে আরেক স্থানে মুভ করা যায়। অর্থাৎ লেয়ারের মধ্যে এক লেয়ার থেকে অন্য লেয়ারে মুভ করা যায়।
৫. ইরেসার টুলঃ এর মাধ্যমে ছবির যে কোনো অংশ মুছে ফেলা যায়।
৬. ক্রপ টুলঃ এটি দিয়ে ছবি ক্রপ করা যায়।
৭. ফিল টুলঃ এটি একটা পেইন্ট টুলস। এটির সাহায্যে কোন বড় জায়গাকে পেইন্ট করতে ব্যবহার করা হয়। কোনো বড়ো জায়গা বা ব্যাক গ্রাউন্ডকে চেঞ্জ করতে সেখানে ব্রাশ টুল ব্যবহার না করে এই টুলের সাহায্যে সেই এরিয়া কলার ফিল বা পূরণ করা যায়।
আরও পড়ুনঃ এক ক্লিক ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড হ্যাক করার উপায়
৮. আইড্র পার টুলঃ এর মাধ্যমে কোন নির্দিষ্ট যায়গা থেকে কালার কালেক্ট করে অন্য যায়গা পূরণ করা যায়। অর্থাৎ একটি ছবির পাশা-পাশি ২ অংশ আলাদা হলে এক অংশ থেকে আইড্র পার দিয়ে রঙ নিয়ে আরেক অংশ ফিল করা যায়।
৯. জুম টুলঃ এর মাধ্যমে ছবি জুম করা যায়।
এগুলো ছাড়াও আরো অনেক রকম টুলস আছে যেগুলো দিয়ে আরো অনেক ধরণের কাজ করা যায়। বর্তমানে এর ভার্সন গুলো আপডেট হয়েছে। এবং টুলস গুলোও কিছু বৃদ্ধি পেয়েছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এই সফটওয়্যার টি এখনো প্রথম সারির কিছু ভালো এডিটিং সফটওয়্যার এর মধ্যে পড়ে।এডোবি ফটোশপের কিছু ভার্সন নিচে দেয়া হলোঃ এখান থেকে আপনি ডাউন লোড করতে পারেন।
পরিশেষে বলতে চাই সবার চাইতে ভালো মানের একটা কমন ভার্শন রয়েছে যেটা প্রায় ১০০ জনের মধ্যে ৯৮ জন ব্যবহার করে থাকেন সেটা হচ্ছে এডোবি ফটোশপের ৭.০ ভার্শন।
আরও পড়ুনঃ গেমিংয়ের জন্য সেরা বিনামূল্যের ভিপিএন। The best VPN for gaming
উপরে সকল ভার্শন আপনাদের উপকার কারার জন্য দেওয়া আছে যদি কিছু ভুল হয় তাহলে আমাকে কমেন্ট করে যানাতে পারেন কারণ মানুষের ই ভুল হয়। এর যদি আমর ওয়েব সাইট টি ভালো লেগে থাকে তবে চাইলে পাশে থাকতে পারেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন