আপনারা কি
রক্ত দান নিয়ে উক্তি সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আজকের এই পোস্টটি
আপনাদের জন্য। আজকে আমরা আলোচনা করব রক্ত দান নিয়ে উক্তি, রক্ত দান নিয়ে উক্তি এবং রক্ত দান নিয়ে উক্তি হলে কেন হয় , রক্ত দান নিয়ে উক্তি বাংলাদেশ , রক্ত দান
নিয়ে উক্তি এ সম্পর্কে। রক্ত দান নিয়ে উক্তি সর্বশেষ আপডেট নিয়ে সাজানো হয়েছে
আমাদের আজকের এই পোস্টটি পড়ে জেনে নিন রক্ত দান নিয়ে উক্তি তার সব কিছু, রক্ত দান নিয়ে উক্তি কেন বলবো, রক্ত দান
নিয়ে উক্তি বলার কারণ, রক্ত দান নিয়ে উক্তি কীভাবে ভালো
করা বলা যাই এ সম্পর্কে।
অমুক ব্যাক্তির জন্য অমুক হাসপাতালে বা ক্লিনিকে বি পজেটিভ রক্ত লাগবে। কোন সহৃদয়বান ব্যাক্তি রক্ত দিতে ইচ্ছুক থাকলে নিচের নাম্বারে যোগাযোগ করুন। এই রকম একটি বিজ্ঞপ্তির সম্মুখীন আমরা সকলেই হয়েছি। বিভিন্ন দূর্ঘটনায় আহত হয়ে প্রতি দিন হাজার হাজার রোগী হাসপাতালে আসেন। তাদের মধ্যে এমন ও রোগী থাকে যারা গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে লড়ায় করে।
ক্লিক করুনঃ রক্তের প্রয়োজনে এখানে ক্লিক করুন
তাদের বাচাতে রক্ত দিতে হয়। যদিও এক সময় আমাদের দেশে রক্তের অভাবে অনেক মানুষ মারা গেছেন। কিন্তু বর্তমানে আমাদের দেশের মানুষ এই দিক দিয়ে খুবই সচেতন। বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী দল গুলো এই সকল কাজ গুলো করে থাকে।
রক্ত দান নিয়ে উক্তি
আমার রক্তে যদি সহযোগিতা করে- মুমূর্ষ রোগীর প্রাণ, তাহলে আমি কেন করবোনা স্বেচ্ছায় রক্তদান?” ১০০ ”রক্তদানের পাশাপাশি আশে-পাশের মানুষগুলোকেও রক্তদানে উৎসাহি করুন; অসহায় মুমূর্ষ রোগীদের রক্তের ব্যবস্থা করে জীবন বাঁচাতে সহযোগিতা করুন”
যেমনঃ রেড ক্রিসেন্ট, বাংলাদেশ স্কাউটস সহ আরো অনেক সেচ্ছাসেবী দল। এছাড়া বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা ব্যক্তিগত উদ্যেগে রক্ত দান করে থাকেন। আসুন জেনে নেই রক্ত দান করার কিছু উপকারীতা।
মাত্র এক পিন্ট (প্রায় ৪৭০ মিলি) রক্ত দান করলে তা আপনার জীবনে খুব একটা পার্থক্য আনবে না কিন্তু সেই এক পিন্ট তিনটি জীবন বাঁচাতে পারে!
তাই আপনার হাতা গুটিয়ে নিন এবং এই মহৎ কাজে সক্রিয়ভাবে অবদান রাখুন।
রক্তদানের তথ্যঃ
- প্রতি দুই সেকেন্ডে কারো রক্তের প্রয়োজন হয়
- দান করা রক্ত ৫৬ দিনের মধ্যে প্রতিস্থাপন করা হবে (২ মাসের কম)
- রক্তদানের পর দাতা "দুর্বল" হয়ে যাবেন না
- একজন মানুষের শরীরে ৫-৬ লিটার রক্ত থাকে
- একজন প্রতি ৯০ দিন (৩ মাস) রক্ত দিতে পারেন
- রক্ত দিতে মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় লাগে
১। ফ্রী স্ক্রীনিং বা চেকাপ
রক্ত দান করতে গিয়ে, আপনি একটি মিনি-ফিজিক্যাল চেকাপ পাবেন। একজন প্রশিক্ষিত কর্মী সদস্য এই চেকআপটি করেন। কেউ রক্ত দেয়ার আগে সে রক্ত দেয়ার উপযুক্ত কিনা তা রক্ত গ্রহণকারী মেডিক্যাল টিম নিশ্চিত করে তারপর তাকে রক্ত দিতে অনুমতি দেন। কেউ রক্ত দেয়ার উপযুক্ত কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য রক্তদাতার কিছু মেডিক্যাল টেস্ট করা হয়। যেমন তারঃ
- ওজন মাপা হয়
- শরীরের তাপমাত্রা মাপা হয়
- রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা মাপা হয়
- রক্তের প্রেশার মাপা হয়
- হৃদ স্পন্দন মাপা হয়
- এছাড়াও রক্তদাতার কোন সংক্রমক রোগ আছে কি না তা দেখা হয়।
সব পরীক্ষা নিরিক্ষা শেষ হওয়ার পর যদি ফলাফল পজেটিভ থাকে তবেই সেই ব্যাক্তিকে রক্তদেয়ার অনুমতি দেয়া হয়। এছাড়াও রক্তদাতার বিরল রক্তের গ্রুপ আছে কিনা তাও এই চেকাপের মাধ্যমে প্রকাশ পাবে।
- ব্লাড সেল উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে
- রক্তদান হার্ট অ্যাটাক এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে
- রক্তদান, ক্যালোরি পোড়ায় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে
- রক্তদান লিভারকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে
- হেমোক্রোমাটোসিস প্রতিরোধ করে এবং আয়রনের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে
- রক্তদান করে আপনি কারো জীবন বাঁচাতে পারেন
- এটি আপনাকে আপনার সামাজিক দায়িত্বগুলি সম্পূর্ণ করতে সহায়তা করে
২। রক্তের পরীক্ষাঃ
রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা যায়। যেমণঃ
- হেপাটাইটিস বি
- হেপাটাইটিস সি
- এইচআইভি
- ব্লু ভাইরাস
- সিফিলিস
- ট্রাইপানোসোমা ক্রুজি ইত্যাদি
এসব রোগ ভয়ঙ্কর হতে পারে। তাই রক্তদাতার শরীরে এসব রোগের কোন উপসর্গ আছে কিনা তাও জানা যায়।
৩। নিয়মিত রক্তদান নিম্ন রক্তচাপ এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। অবশ্য গবেষণাটি মিশ্র মতবাদের জন্ম দিয়েছে। রক্তদান আসলেই হৃদরোগ এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায় কিনা তা নিয়ে আর জোরদার গবেষণা চলছে বর্তমানে।
আরও পড়ুনঃ ইসলামে একজন নারীর ভূমিকা কি। The role of a woman in Islam?
৪। যদি রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ খুব বেশি হয়, তাহলে রক্তদান রক্তের সান্দ্রতা কমাতে সাহায্য করে। অর্থাৎ রক্তের জমাট বাঁধা, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক ইত্যাদির ঝুকি কমায়। আর আশ্চর্যজনকভাবে, এই সুবিধাগুলি মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে বেশি তাৎপর্যপূর্ণ।
নিউ ইয়র্ক ব্লাড সেন্টার হেমোক্রোমাটোসিস প্রোগ্রাম হেমোক্রোমাটোসিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের রক্ত অপসারণ করে ফেলে দেওয়ার পরিবর্তে দান করার জন্য উৎসাহিত করে।
৫। বংশগত একটি রোগ হলো হেমোক্রোমাটোসিস। এই রোগ হলে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরে অতিরিক্ত আয়রন জমা হয়। এটি রোধ করতে নিয়মিত রক্ত অপসারণ করতে হয়। আর সৌভাগ্যবশত, এই রক্ত অন্যদের উপকার করতে পারে।
২০১৩ সালের একটি গবেষণা অনুসারে, নিয়মিত রক্ত দান করলে আয়রনের সঞ্চয় কম হতে পারে। এতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যেতে পারে। উচ্চ বডি আয়রন স্টোর হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায় বলে মনে করা হয়।
৬। একজন ব্যাক্তির দানকৃত রক্ত সর্বোচ্চ তিনটি জীবন বাঁচাতে পারে। অনেকেই স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন এতে মানুষ কে সাহায্য করা এবং উপকার করায় রক্তদাতার মনে একটি ইতিবাচক প্রভাব পরে যা বিষণ্নতা থেকে রক্কা করে। এতে আত্মহত্যার মতো মারাত্মক সব কাজ থেকে দূরে থাকে মানুষ।
৭। রক্ত দেওয়া হল বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সাথে জড়িত হওয়ার এবং আপনার চারপাশের লোকেদের সাহায্য করার একটি উপায়।
৮। নিয়মিত রক্ত দান রক্তচাপ কমাতে পারে।
৯। আর সবচেয়ে বড় যে জিনিস সেটা হলো আপনার দেয়া রক্তে একটি মানুষের জীবন রক্ষা হবে। একটি পরিবার বাঁচবে। হতে পারে সে লোকটি তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যাক্তি। তাই রক্ত দানে সবাইকে বেশি বেশি উৎসাহিত করুন এবং নিজেও রক্ত দান করুন।
মানুষ এখনও ল্যাবগুলিতে রক্ত তৈরির সূত্রটি ভাঙতে পারেনি - এটি কেবল আপনার মতো উদার দাতাদের কাছ থেকে আসতে পারে। এটা কর!
আরও পড়ুনঃ মেধা শক্তি বাড়ানোর কার্যকারী দোয়া। ঘরে বসে মেধা শক্তি বাড়ান
রক্তদান হল অভাবী মানুষ বা যাদের রক্তের প্রয়োজন তাদের সাহায্য করার জন্য একটি মহান অঙ্গভঙ্গি। অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা আছে, যা শেষ পর্যায়ে না হওয়া পর্যন্ত নীরব থাকে। উচ্চ রক্তচাপ, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, কিডনি সমস্যা ইত্যাদির মতো স্বাস্থ্যগত অবস্থার প্রাথমিক সতর্কতা লক্ষণগুলো আমরা সহজে লক্ষ্য করি না।
পাশাপাশি যারা রক্ত নিবেন নিজেদের আত্মীয়স্বজনের জন্য তারা অবশ্যই রক্তদাতার সাথে ভালো ব্যবহার করবেন। কারণ যারা রক্ত দান করছে তারা কোন কিছু পাওয়ার আশায় বা লোক দেখানোর জন্য রক্ত দান করেন না।
তারা শুধু মাত্র অসহায় মানুষদের সাহায্য করার জন্যই এই কাজ গুলো করে থাকেন। অনেকেই আছেন যারা হাজার ব্যস্ততার মধ্যেও চলে আসেন এক ব্যাগ লাল ভালোবাসা দেয়ার জন্য। আপনি যদি একজন দাতা হতে চান, তবে আপনার নিজের যত্ন নেওয়া এবং আপনি কোনও রোগ ছড়াচ্ছেন না তা নিশ্চিত করা আপনার দায়িত্ব। তাই যথাসম্ভব তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করুন। তারা আপনার কাছে শুধু এতোটুকুই আশা করেন। মানুষ মানুষের জন্য। ধন্যবাদ।
উপরে সকল বিষয় আপনাদের উপকার কারার জন্য দেওয়া আছে যদি কিছু ভুল হয় তাহলে আমাকে কমেন্ট করে যানাতে পারেন কারণ মানুষ মাত্র ভুল হয়। আর যদি আমর ওয়েব সাইট টি ভালো লেগে থাকে তবে চাইলে পাশে থাকতে পারেন।
ইতি কথাঃ রক্ত দান নিয়ে উক্তি
রক্ত দান
নিয়ে উক্তি সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের পুরো পোস্ট পড়ন। রক্ত দান নিয়ে উক্তি
সবার আগে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন। রক্ত দান নিয়ে উক্তি জানতে হলে আমাদের পুরো
আর্টিকেল টি ভাল ভাবে পড়ন, আশা করছি সবকিছু ভালোভাবে বুঝতে
পারবেন।
আজ আর নয়, রক্ত দান নিয়ে উক্তি এ বিষয়ে যদি আপনার কোন কিছু জানার থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আশা করছি আমরা আপনারটি দিয়ে। দিব। তাহলে আমাদের আজকের এই রক্ত দান নিয়ে উক্তি পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে আপনাদের ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল আমাদের পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন, ধন্যবাদ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন