শিশুর মেধা বিকাশ - শিশুর মানসিক বিকাশে মায়ের ভূমিকা
সূচিপত্রঃ
শিশুর মেধা বিকাশ
শিশুর মেধা বিকাশে করণীয়
শিশুর মেধা বিকাশের খাবার
শিশুদের মেধা বিকাশের উপায়
শিশুর মানসিক বিকাশের বৈশিষ্ট্য
শিশুর বিকাশে পরিবারের করণীয়
শিশুর মানসিক বিকাশে মায়ের ভূমিকা
শিশুর মানসিক বিকাশে শিক্ষকের ভূমিকা
শিশুর মেধা বিকাশে অতিরিক্ত কিছু উপদেশ
শিশুর মেধা বিকাশ
শিশুর মেধা বিকাশ-ঘুমাতে না চাইলেও চুপচাপ শুয়ে থাকার অভ্যাস গড়ে তুলুন। তবে বাচ্চাকে ঘরের ভেতরে ও বাইরে যথেষ্ট পরিমাণ কাজ দিয়ে ব্যস্ত রাখলে বাচ্চা এমনিতে ক্লান্ত থাকবে। দুই বছর বয়স থেকে শিশুদের ব্যক্তিত্ব গড়ে ওঠে। তখন বাবা-মায়ের দেওয়া সময়, আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা তার ব্যক্তিত্ব বিকাশে সহায়ক। শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যত। সমাজ ও দেশের কর্ণধার।
শিশুর কৌতুহল অসীম। যা দেখে তাই বিশ্বাস করে।সেজন্য মা-বাবাকে সচেতনতার সাথে শিশুর বুদ্ধি বিকাশে সাহায্য করবেন।
আরও পড়ুনঃ বাসে/গাড়িতে উঠলে বমি করা বন্ধে করনীয়
শিশুর মেধা বিকাশ এর ৭০% মায়ের পেটে গর্ভকালীন অবস্থায় শুরু হয়।তাই মাকে অবশ্যই প্রযোজনীয় ফলিক এসিড, আয়রন ক্যালসিয়াম জিংক সমৃদ্ধ পুষ্টিকর ও Balance খাবার দিতে হবে।মাকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম, মানষিক চাপ মুক্ত ও হাসিখুশি রাখুন।
প্রথম ৫বছর শিশু র প্রতি বিশেষ যত্নশীল হউন কারণ প্রথম ৫বছর সময়কে Foundation age বলা হয়।
প্রথম ৬মাস শুধু মাত্র মায়ের দুধ খাওয়াবেন।৬মাস পর থেকে শিশুদের বাড়তি খাবার গুলো দিন। শিশুদের খাদ্য যেন অবশ্যই পুষ্টিকর সুস্বাদু ও Balance diet হয়।বাহিরের খাবার, জান্ক ফুড পরিহার করুন।
শিশুর মেধা বিকাশে করণীয়
শিশুর মেধা বিকাশে করণীয়-শিশু বয়স থেকেই তাই শিক্ষামূলক বইয়ের পাশাপাশি গল্পের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। গল্পের বই পড়ার মাধ্যমে শিশুর মানসিক বিকাশ প্রসারিত হয় এবং মনের ভাব প্রকাশের ক্ষমতা বাড়ে। এর ফলে শিশুরা জটিল শব্দ ও বাক্য সহজে বুঝতে পারে। এতে তার পড়ার আগ্রহ বৃদ্ধি পায়, সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পায় শিশুর বুদ্ধিমত্তা।
শিশুর মেধা বিকাশের খাবার
শিশুর মেধা বিকাশের খাবার-শিম, মটরশুঁটি, বাদাম প্রভৃতিতে অধিক পরিমাণে প্রোটিন, জটিল শর্করা, খাদ্যআঁশসহ প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান পাওয়া যায়। এসব উপাদান শিশুর জন্য খুবই উপকারী। এই খাবারগুলো শিশুর চিন্তাশক্তি বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে ওটস চমৎকার কাজ করে।
শিশুদের মেধা বিকাশের উপায়
শিশুদের মেধা বিকাশের উপায়-শিশু বয়স থেকেই তাই শিক্ষামূলক বইয়ের পাশাপাশি গল্পের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। গল্পের বই পড়ার মাধ্যমে শিশুর মানসিক বিকাশ প্রসারিত হয় এবং মনের ভাব প্রকাশের ক্ষমতা বাড়ে। এর ফলে শিশুরা জটিল শব্দ ও বাক্য সহজে বুঝতে পারে। এতে তার পড়ার আগ্রহ বৃদ্ধি পায়, সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পায় শিশুর বুদ্ধিমত্তা।
শিশুর মানসিক বিকাশের বৈশিষ্ট্য
শিশুর মানসিক বিকাশের বৈশিষ্ট্য-শিশু বয়স থেকেই তাই শিক্ষামূলক বইয়ের পাশাপাশি গল্পের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। গল্পের বই পড়ার মাধ্যমে শিশুর মানসিক বিকাশ প্রসারিত হয় এবং মনের ভাব প্রকাশের ক্ষমতা বাড়ে। এর ফলে শিশুরা জটিল শব্দ ও বাক্য সহজে বুঝতে পারে।
আরও পড়ুনঃ শিশুর ডায়রিয়া হলে মায়ের খাবার
এতে তার পড়ার আগ্রহ বৃদ্ধি পায়, সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পায় শিশুর বুদ্ধিমত্তা।
শিশুর বিকাশে পরিবারের করণীয়
শিশুর বিকাশে পরিবারের করণীয়-শিশুর জীবন বিকাশের সব ক্ষেত্রেই পরিবারের গুরুত্ব অপরিসীম। পরিবার থেকেই শিশু সব ধরনের পারিবারিক সম্পর্ক সম্বন্ধে প্রথম অবগত হয়। শিশুর মধ্যে নিরাপত্তার অনুভূতি কেমন হবে অন্যের প্রতি সে কিরূপ মনোভাব পোষণ করবে এবং কিভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবে তা অনেকাংশেই শিশুর পারিবারিক কাঠামো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকে।
শিশুর মানসিক বিকাশে মায়ের ভূমিকা
শিশুর মানসিক বিকাশে মায়ের ভূমিকা-একটি শিশুর জন্মের সূচনা থেকেই শুরু হয় তার বর্ধন ও বিকাশ । সে কারণে মাতৃগর্ভে থাকাকালীন সময়ে মায়ের খাদ্য, যত্ন, পরিচর্যা, মায়ের মনোভাব, মানসিকতা প্রভৃতি শিশুর সুষ্ঠু বিকাশে গুরুত্বপূণ ভূমিকা রাখে। গর্ভাবস্থায় মা যদি পুষ্টিহীন থাকে তবে সন্তান অপুষ্ট, রুগ্ন ও কম ওজন, উচ্চতা নিয়ে জন্মাবে।
শিশুর মানসিক বিকাশে শিক্ষকের ভূমিকা
শিশুর মানসিক বিকাশে শিক্ষকের ভূমিকা-শিশুদের মনের বিকাশ ঘটে তার পড়াশোনা, অভিজ্ঞতা, বুদ্ধিমত্তা ও পরিণতির ওপর নির্ভর করে। শিক্ষকরা সব সময় শিশুর বুদ্ধিমত্তা বিকাশের ওপর গুরুত্ব দেন কিন্তু কখনওই তাদের আবেগ ও অনুভূতির বিকাশের কথা বলেন না।
প্রশাসনিক এবং সহপাঠক্রমিক কার্যাবলিতে অংশগ্রহণ : আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষককে বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্ব যেমন, ছাত্ৰভরতি, সময়তালিকা প্রস্তুত, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির রেকর্ড রাখা, সর্বাত্মক বিবরণীপত্র প্রস্তুত, আলােচনা চক্র এবং অন্যান্য সহপাঠক্রমিক কার্যাবলি সংগঠন ও পরিচালনার দায়িত্ব পালন করতে হয়।
শিশুর মেধা বিকাশে অতিরিক্ত কিছু উপদেশ
- শিশুর সামনে Smoking করবেন না।
- শিশুকে প্রতিদিন ১-২ ঘন্টা খেলতে দিন।
- শিশুর প্রতি ইতিবাচক থাকুন ও সংবেদনশীল হন।
- শিশুর কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। Read together.
- বাড়িতে শিশু বান্ধব নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তুলুন।
- প্রথম ২/৩ বছর শিশুর জানার আগ্রহ খুব বেশি থাকে।
- শিশুর মন খারাপ হলে জরিয়ে ধরুন এবং কোলে নিন।
- শিশু কে ভালো কাজে উৎসাহিত করুন ও প্রশংসা করুন।
- মেধা বিকাশ ও রোগ প্রতিরোধ করতে চাই শিশুর পর্যাপ্ত ঘুম।
- শিশুর খেললা হতে হবে আবিস্কারধর্মী ও সৃজনশীল এবং বয়স উপোযোগী।
- শিশুর সমালোচনা নয়,ভুল ধরবেন না, ভুল থেকে শিশু শিক্ষা নেবে বুঝিয়ে বলুন।
- নিজের দুশ্চিন্তা শিশুর সাথে শেয়ার করার দরকার নাই তাহলে শিশুও দুশ্চিন্তায়গ্রস্ত হবে।
- শিশুকে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ, প্রোটিন জিংক ভিটামিন আয়রন সমৃদ্ধ খাবার দিন।
- ছুটির দিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিশুকে বেড়াতে নিয়ে যান এতে শিশুর বুদ্ধির বিকাশ ঠিকমত হবে।
- শিশুর জন্য মা-বাবা একজন বীর, তাই শিশুর সামনে নিজকে উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করুন।
- শিশুর সামনে পারিবারিক সহ কোন ঝগড়া বিবাদ উচ্চস্বরে কথা ও অশোভন আচরণ করবেন না।
- নতুন কিছু করতে উৎসাহ দিন, নতুন কিছু শিখে শিশু আত্নবিশ্বাসী হিসাবে গড়ে উঠবে।Believe to them.
- শিশুর উপর কোন কিছু চাপাবেন না Force করবেন না। শিশুকে বুঝিয়ে বলুন।প্রয়োজন হলে শিশু বিশেষজ্ঞ এর পরামর্শ নিন।
- শিশুরা অনুকরণ প্রিয় তাই শিশুর সামনে ভালো কাজ গুলো করুন। শিষ্টাচার ও ধর্মীয় আচার গুলো শেয়ার করবেন এবং শেখাবেন।
এমবিবিএস
সহকারী রেজিস্ট্রার (শিশু বিভাগ)
বারিন্দ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী ।
ও
জেনারেল ফিজিশিয়ান
ডাক্তার খানা কৃষ্ণপুর শাখা ।
0 Comments
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন