শিশুর ডায়রিয়া - শিশুর ডায়রিয়া হলে করণীয় - শিশুর ডায়রিয়া হলে মায়ের খাবার

সূচিপত্রঃ

শিশুর ডায়রিয়া
ডায়রিয়া হলে কি ওষুধ
শিশুর ডায়রিয়া হলে করণীয়
শিশুর ডায়রিয়া কতদিন থাকে
শিশুর ডায়রিয়ার পরবর্তী খাবার
শিশুর ডায়রিয়া হলে মায়ের খাবার
শিশুর ডায়রিয়া হলে কি খাওয়া উচিত
শিশুর ডায়রিয়া হলে অতিরিক্ত যত্ন নিতে কী করবো

শিশুর ডায়রিয়া -  শিশুর ডায়রিয়া হলে করণীয় -  শিশুর ডায়রিয়া হলে মায়ের খাবার



শীতে শিশুদের জন্য বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে কারন এই সময় ডায়রিয়া বেশি হয়। ডায়ারিয়া সাধারণত পানি ও খাদ্য বাহিত রোগ।  এর সবচেয়ে বড় সমস্যা পানি শুন্যতা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে দিনে যদি ৩ বা তার বেশি পায়খানা হয় সেটিকে ডায়রিয়া হিসাবে চিহ্নিত করে,বাচ্চারা যদি একাধিক বার পায়খানা করে মল যদি পানির মত তরল না হয় তবে সেটা ডায়রিয়া নয়।

আরও পড়ুনঃ বাসে/গাড়িতে উঠলে বমি করা বন্ধে করনীয়

ডায়রিয়া  সাধারণত ব্যাকটেরিয়া,ভাইরাস ও প্যারাসাইট দিয়ে হয়।খাবারের এলার্জি থেকেও বিশেষ করে দুগ্ধ জাতীয় খাবার গুলো থেকে হতে পারে। 

শিশুর ডায়রিয়া

ডায়রিয়া হলে শিশুকে বারবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। বয়স দুই বছরের নিচে হলে তাদের প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর ১০ থেকে ২০ চামচ, দুই বছরের বেশি বয়সীদের প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর ২০ থেকে ৪০ চামচ করে স্যালাইন দিন। বমি হয়ে গেলে ১০ মিনিট অপেক্ষার পর আবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে।

ডায়রিয়া হলে কি ওষুধ

সাধারণ ডায়রিয়ায় কোনো ওষুধ না খেয়ে বিশ্রাম নিন, বারবার খাওয়ার স্যালাইন বা ডাবের পানি পান করুন, বেশি করে তরল খান। ডায়রিয়া হলে শুধুমাত্র খাবার স্যালাইন খেলেই হবে। খাবার স্যালাইন কিনে খাওয়া যেতে পারে। আর না হয় ঘরে হাফ লিটার পানির মধ্যে এক মুঠো গুড় ও এক চিমটি লবণ দিয়ে স্যালাইন বানিয়ে নিন।

শিশুর ডায়রিয়া হলে করণীয়

শিশুর ডায়রিয়া হলে করণীয় কি- ডায়রিয়া হলে শিশুকে বারবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। যে শিশুদের বয়স দুই বছরের নিচে, তাদের প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর ১০ থেকে ২০ চামচ, দুই বছরের বেশি বয়সীদের প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর ২০ থেকে ৪০ চামচ এবং বমি হলে ১০ মিনিট অপেক্ষার পর আবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে।

শিশুর ডায়রিয়া কতদিন থাকে

ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হওয়াও ডায়রিয়া, যা সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় তিনবার বা তারও বেশিবার হয়। যদি পানির পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়, তাকে ডায়রিয়া বলে ধরে নেওয়া হয়। আবার পায়খানা বারবার হলেও মল যদি পাতলা না হয়, তা ডায়রিয়া নয়। সাধারণত তিন থেকে সাত দিন পর্যন্ত থাকতে পারে।

শিশুর ডায়রিয়া পরবর্তী খাবার

স্যালাইনের পাশাপাশি অন্য খাবার: ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুকে ডাবের পানি, ভাতের মাড় ইত্যাদি দিতে পারেন। তবে বাজারের কোমল পানীয়, জুস, বেশি চিনিযুক্ত চা কিংবা কফি দেওয়া যাবে না। এ ছাড়া স্বাভাবিক সব খাবার খাওয়ানো যাবে। শিশুকে মায়ের দুধ অবশ্যই দিয়ে যেতে হবে।

শিশুর ডায়রিয়া হলে মায়ের খাবার

স্যালাইনের পাশাপাশি অন্য খাবার: ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুকে ডাবের পানি, ভাতের মাড় ইত্যাদি দিতে পারেন। তবে বাজারের কোমল পানীয়, জুস, বেশি চিনিযুক্ত চা কিংবা কফি দেওয়া যাবে না। এ ছাড়া স্বাভাবিক সব খাবার খাওয়ানো যাবে। শিশুকে মায়ের দুধ অবশ্যই দিয়ে যেতে হবে।

শিশুর ডায়রিয়া হলে কি খাওয়া উচিত

ডায়রিয়া সেরে যেতে সাধারণত পাঁচ থেকে সাত দিন এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে দুই সপ্তাহের মতো সময় লাগে। এ সময় সম্ভব হলে খাওয়ার স্যালাইনের পাশাপাশি ভাতের মাড়, চিড়ার পানি, ডাবের পানি, ফলের রস, কাঁচা কলার ভর্তা ইত্যাদি খেতে দিন। খাবার স্যালাইন ঘরে না থাকলে হাতে তৈরি স্যালাইন বানিয়ে পান করান।

শিশুর ডায়রিয়া হলে অতিরিক্ত যত্ন নিতে কী করবো

এন্টিবায়োটিক থেকেও ডায়রিয়া হতে পারে। 

এসময় শিশু স্বাভাবিক এর তুলনায় বেশি ঘনঘন পানির মত পায়খানা করে,জ্বরও থাকতে পারে,ওজন কমে যায়,কান্নাকাটি বেশি করে। ডিহাইড্রেশন দেখা দিতে পারে যেমন চোখ বসে যাওয়া, শুঁকনো মুখ গহবর, হলুদ প্রসাব ও কান্নাকাটি করার সময় চোখে পানি না আসা।

  • বমি ও হতে পারে,মলে রক্ত থাকা ও পানি সেলাইন বা দুধ খেতে না চাওয়া। 
  • ডিহাইড্রেশন বাচ্চাদের জন্য খুব মারাত্নক হতে পারে।No dehydration পানি শুন্যতা থাকে না। Some dehydration এ হালকা পানি শুন্যতা দেখা যায়। জিহবা ও মুখ শুকিয়ে যায়,বেশী পরিমাণ পানি বা সেলাইন খেতে চায়, মুখ থেকে পানির পাত্র সরাতে চায় না।
  • Severe Dehydration এ পানি পানে অনাগ্রহ, নিস্তেজ, পেটের চামড়া টানলে পুর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে অনেক সময় লাগে। এ সময় দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করাবেন। 
  • বার বার বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। যদি বমি করে তা হলে ১০মিনিট অপেক্ষা করে আবার খাওয়াতে হবে।চিকিৎসক এর পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক বা অন্য কোন ঔষধ খাওয়ানো যাবেনা।
  • পর্যাপ্ত সাদা পানি, ডাবের পানি ও সেলাইন খাওয়াতে হবে।
  • চিনিযুক্ত পানি  soft Drinks খাওয়ানো যাবেনা। 
  • স্বাভাবিক খাবার চালিয়ে যেতে হবে। 
  • দই বা মাখন খাওয়াবেন।এখানে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকে। 
  • প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিধিমালা মেনে চলতেই হবে।
  • খাওয়ার আগে ও পরে হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে, টয়লেট করে সাবান পানি দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। স্বাস্থ্যকর খাবার রান্না করা। 
  • ডায়রিয়া চলাকালীন বা ভাল হওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে স্কুলে বা খেলার মাঠে না পাঠানো। বাথরুম নিয়মিত পরিষ্কার করা।
  • দুই বছরের নীচে প্রতি পায়খানা পর ১০-২০চামচ,২-১০বছরের বাচ্চাদের ২০-৪০চামচ এবং ১০বছরের উপরের বাচ্চা যত ইচ্ছা সেলাইন খাওয়াবেন।
  • ডায়েরিয়া হলে প্রচুর পটাসিয়াম Lose হয় তাই এসময় কলা খাওয়ানো জরুরি। কলায় প্রচুর পরিমানে পটাসিয়াম থাকে। ডায়ারিয়াতে আদা, মুড়ি, আপেল অনেক উপকারী। 
  • Ziflu syp  খাওয়ালে ডায়েরিয়া তারাতাড়ি সেরে যায়।
  • প্রতি দিন একটা Enterogermina খাওয়ালে ডায়ারিয়া দ্রুতই ভালো হয়। 
  • সেলাইন খাওয়ালে ঠান্ডা লাগবে এ ধারণা ভুল।
  • সেলাইন অনেকে এ গরম পানিতে তৈরী  করতে চান এধারনাও ভুল। 
  • কোন অবস্থায় খাওয়া কমানো যাবে না।
  • ডায়ারিয়ায় মায়ের দুধ বন্ধ করবেন না।
  • বমি হলে সেলাইন বন্ধ করবেন না বরঞ্চ ১০ মিনিট পর পনরায় খাবার সেলাইন শুরু করুন। 
  • বেশি বা কম পানিতে সেলাইন তৈরী করবেন না,নিদিষ্ট পরিমানে পানিতে সেলাইন তেরী করুন। 
  • রোটা ভাইরাস ভেকসিন দিলে ডায়েরিয়ার প্রকোপ কমানো সম্ভব। 
  • নিয়মিত হাতের নখ কাটাতে হবে।

ডাক্তার প্ররিচিতিঃ
ডা. মো. আতিকুর রহমান আরিফ 
এমবিবিএস 
সহকারী রেজিস্ট্রার (শিশু বিভাগ)
বারিন্দ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী ।
           ও 
জেনারেল ফিজিশিয়ান  
ডাক্তার  খানা কৃষ্ণপুর শাখা ।
[ আরও পড়ুনঃ ]

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post a Comment (0)

নবীনতর পূর্বতন