ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কেন - কি কি রোগ হয় এবং ধূমপান ইসলাম কি বলে

ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কেন? কি কি রোগ হয় এবং ধূমপান ইসলাম কি বলে

ধূমপান হচ্ছে তামাক জাতীয় দ্রব্যাদি বিশেষ উপায়ে প্রক্রিয়াজাত করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে শ্বাসের সাথে তার ধোঁয়া শরীরে গ্রহণের প্রক্রিয়া। এটি সাস্থের জন্য ক্ষতিকর কিন্তু দিন দিন ধুমপায়ির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তার মধ্যে বর্তমান জেনারেশন বেশি আসক্তি হচ্ছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে আজকাল প্রাইমারি থেকে শুরু করে হাই স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলেদের সংখ্যা মাত্রাতিরিক্ত। 

দইন দিন এমন অভ্যাসে পরিনত হচ্ছে যে সময় মত সিগারেট না পেলে অস্থিরতা দেখা দেয়। এরা হয়ত বুঝেই উঠতে পারছেনা যে ধুমপান মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে।  যার প্রভাব এখন না পরলেও বয়স বাড়ার সাথে সাথে দেখা দিতে পাড়ে নানা রকম সমস্যা। আজ ধুমপান নিয়ে সাধারন মানুষের মাঝে  কিছু কমন প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে।

ধুমপান করলে কি হয়

  • ধুমপান কি হারাম।
  • ধূমপান ছাড়ার ঔষধ।
  • ধুমপান ত্যাগের উপকারিতা।
  • খালি পেটে সিগারেট খেলে কি হয়।
  • ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কেন।
  • সিগারেটের উপকারিতা ও অপকারিতা।
  • ধুমপান ছেড়ে দিলে কি কি সমস্যা হতে পারে।
  • ধুমপান করলে কি নামাজ হবে? ধুমপান সম্পর্কিত হাদিস।

ধুমপান কি হারাম-মুভি কিংবা নাটক সহ বিভিন্ন বিজ্ঞাপন বাপ্রচারের মাধ্যমে বলা হচ্ছে ধুমপান মৃত্যু ঘটায়।এমনকি সিগারেটের প্যাকেটেও লেখা ও ছবি দেয়া থাকে ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ।ধুমপানের কারনে ক্যান্সার, ফুসফুসের রোগ, কার্ডিওভাসকুলার রোগ, কিডনি রোগ, মুখের ভিতরে দাগ, ইনফ্লুয়েঞ্জা, বন্ধ্যত্ব, যৌন দুর্বলতা, মানসিক চাপ বৃদ্ধি,  ব্রেইনের ক্ষতি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি, গর্ভের সন্তানের ক্ষতি, চোখের ছানি পড়া, চুল ও তকের ক্ষতি, হার ক্ষয় রোগ,  ক্ষুধামন্দা, প্রসাবে দুর্গন্ধ  ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

সিগারেটের উপকারিতা বলতে কিছু নেই।এটি একটি মানুষের ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই করতে পারে না৷ যাদের অতিরিক্ত সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস তাদের কাছে মনে হয় এটি তাদের জন্য উপকারি কিন্তু তার অজান্তেই সরিরের ক্ষতি করছে এই সিগারেট।তাই সিগারেট বা ধুমপানকে না বলুন। 

ধূমপান ছাড়ার ঔষধ-ধুমপান ত্যাগের উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদেরও ধারনা আছে বলে মনে হয় যুক্তরাজ্যের ক্যান্সার রিসার্চ কেন্দ্রের ডক্টর রাচেল ওরিট বলেন, ধূমপান ছাড়লে দ্বিগুণ সুফল পাওয়া যায়, এটি খুবই অনুপ্রেরণাদায়ক একটি বিষয়।প্রথমত, ফুসফুসের কোষে ধূমপানের কারনে ক্ষয়ক্ষতি কমে যাবে, এবং দ্বিতীয়ত ফুসফুস নিজেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সুস্থ কোষ দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ কোষের প্রতিস্থাপন শুরু করবে। তাই ধুমপান ত্যাগের উপকারিতা অতুলনীয়। 

ধুমপান ত্যাগের উপকারিতা-ধূমপায়ী দের রক্তে নিকোটিনের চাহিদা তৈরি হয়, এবং নিদৃষ্ট সময় অন্তর সেই নিকোটিন না পেলে শরীরে মনে এক অস্বস্তি শুরু হয়।যে যত বেশীদিন ধরে এবং বেশি পরিমাণে ধূমপান করেছে তার উদ্বেগ তত বেড়ে যায়, অবসাদ আসে, মেজাজ খিটখিটে হয়ে ওঠে। 

খালি পেটে সিগারেট খেলে কি হয়-মানসিক চাপ বেড়ে যায় মাথা ব্যাথা হয়। আবেগের ভারসাম্য নষ্ট হয়।পায়খানা হতে চায় না, ইত্যাদি। তবে এতে হার না মেনে কিছু দিন ধুমপান না করলে আবার ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যায়। তাই ধর্য ধারন করতে হবে এবং কোন ভাবে হার না মেনে অভ্যাসটা দূর করতে হবে।নিজের মনের জোর যত বেশি হবে শেই পারবে এটি কঠিন কোন কাজ নয়। 

এবং কোন ভাবে এই অভ্যাস থেকে বেড় হতে পারবে ফুসফুস আবার আগের মত ঠিক হয়ে যায় এবং ধুমপানের কারনে হওয়া সমস্যা গুলো দূর হতে থাকে৷ 

এক হাদিসে নবীজী (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি পেঁয়াজ, রসুন এবং পেঁয়াজের মতো গন্ধ হয় এমন কোনো সবজী খাবে, সে যেনো আমাদের মসজিদের ধারে কাছেও না আসে, কেনোনা; মানুষ যে খারাপ গন্ধ দ্বারা কষ্ট পায়, ফিরিস্তারাও তদ্রূপ কষ্ট পায়। (সহীহ মুসলিম ১/৩৯৫)

আর বলা বাহুল্য যে, সিগারেটের দুর্গন্ধ কাঁচা পেঁয়াজরসুনের চেয়েও অধিক দুর্গন্ধ।তাই আমরা ইসলামিক বিধিনিষেধ মেনে চলার চেষ্টা করব। 

ধুমপান ছাড়ার নিদ্রিষ্ট কোন ঔষধ নেই। তবে চাইলেই এটি ছাড়া সম্ভব শুধুমাত্র মনের জোর দিয়ে।আর কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে, যখন ধুমপানের ইচ্ছা যাগবে তখন অন্য কিছু নিয়ে ব্যাস্ত থাকতে হবে এবং যারা ধুমপান করে তাদের করোনা রোগী ভেবে তাদের কাছ থেকে দূরে থাকতে হবে।শুধু এটি ভাববেন যে ইতিমধ্যে অনেকেই ধুমপান ছেড়ে দিয়েছেন আপনি কেন পারবেন না?

বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ বলেন কোরআনুল কারিমে যে মূল নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তার মধ্যে সিগারেট অবশ্যই পড়ে।নিকৃষ্ট জিনিসগুলো, ক্ষতিকর জিনিসগুলো ইসলামে হারাম করে দেওয়া হয়েছে।

ধুমপান সাস্থের জন্য ক্ষতিকর হোক সেটি ভড়া পেট বা খালি পেট।তবে খালি পেটে ধুমপান করলে ক্ষতির মাত্রা বেশি। 

ধূমপান ও ইসলাম

ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কেন-আমি খুব আগ্রহের সাথে "জীবনের একটি উপায় (প্রায়) ধোঁয়ায় উঠে যাচ্ছি" পাঠ করেছি। তবে আমি কি অনুগ্রহ করে এমন কিছুর প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারি যা আমার অনুভূতিতে আঘাত করেছে এবং সম্ভবত, বিশ্বের অনেক মুসলমানের অনুভূতিতে আঘাত করেছে৷ ধূমপানের বিষয়ে নিবন্ধে বলা হয়েছে যে "মুসলিমদের জন্য, 

সিগারেটের উপকারিতা ও অপকারিতা-বিভ্রান্তি রাজত্ব করে কারণ নবী মুহাম্মদ ... কিছুই বলেননি৷ তামাক সম্পর্কে কারণ তিনি সম্ভবত এটির অস্তিত্ব জানতেন না।" এটি ইসলামী আইনশাস্ত্র এবং প্রকৃত প্রকৃতির জ্ঞানের অভাবকে প্রতিফলিত করে
আমি খুব আগ্রহের সাথে "জীবনের একটি উপায় (প্রায়) ধোঁয়ায় উঠে যাচ্ছি" 1 পাঠ করেছি।

ধুমপান করলে কি নামাজ হবে? ধুমপান সম্পর্কিত হাদিস-তবে আমি কি অনুগ্রহ করে এমন কিছুর প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারি যা আমার অনুভূতিতে আঘাত করেছে এবং সম্ভবত বিশ্বের অনেক মুসলমানের অনুভূতিতে আঘাত করেছে।
প্রবন্ধে ধূমপানের বিষয়ে বলা হয়েছে যে "মুসলিমদের জন্য, বিভ্রান্তি রাজত্ব করে কারণ নবী মুহাম্মদ ... তামাক সম্পর্কে কিছুই বলেননি 

ধুমপান ছেড়ে দিলে কি কি সমস্যা হতে পারে-কারণ তিনি সম্ভবত এটির অস্তিত্ব জানতেন না।" এটি ইসলামী আইনশাস্ত্রের জ্ঞানের অভাব এবং ইসলামের নবীর শিক্ষার প্রকৃত প্রকৃতিকে প্রতিফলিত করে। এটি দুর্ভাগ্যজনক যে বিশ্বের অন্যতম প্রধান ধর্ম সম্পর্কে এমন একটি ত্রুটি The Scientist-এর পাঠকদের সামনে রাখা হয়েছে।

মুহাম্মদ স্পষ্টভাবে বলেছেন যে "সমস্ত নেশা ইসলামে হারাম।" একটি সিগারেট ধূমপান নেশাদ্রব্যের উপর এই সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞার সামান্যই কম পড়ে। তাই মুসলমানরা ধূমপান করে। কেউ যদি ধূমপান ছেড়ে দেয়,...

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post a Comment (0)

নবীনতর পূর্বতন